দেশের প্রথম খেজুরি ডাকঘর ঐতিহ্য ভবন

ভিতরে বাদুড়-চামচিকের বাসা। ঝোপঝাড়ে ঢেকেছে। অথচ, কয়েক দশক আগেও লোহার ঘেরানো সিঁড়ি-সহ সুদৃশ্য ত্রিতল ভবন ও ১২টি কক্ষবিশিষ্ট ব্যারাক ছিল।

Must read

সংবাদদাতা, খেজুরি : দেশের প্রথম ডাকঘর কোনটি জানেন? কত সালে হয়েছিল বা কোথায়? খুব কম জনই উত্তর দিতে পারবেন। দেশের প্রথম ডাকঘরটি স্থাপিত হয়েছিল ১৭৭২ সালে। খেজুরিতে। খেজুরি তখন ছিল সমৃদ্ধ বন্দর। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের সুবিধার জন্য ডাকঘরটি চালু করেছিল। ডাকব্যবস্থার পাশাপাশি এখানে দেশের প্রথম টেলিগ্রাম ব্যবস্থাও চালু হয়েছিল। ব্রিটিশরা দেশ ছাড়ার পরেও বেশ কয়েক বছর চলেছিল ডাকঘরটি। তারপর নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন-প্রয়াত তৃণমূল নেতা চন্দ্রকান্ত রায়

ঝড়, বন্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। সেটা বিলীন হয়ে যেত, কিন্তু কয়েকজনের লাগাদার চেষ্টায় এবার প্রথম ডাকঘর ও তার ভবনটি হেরিটেজ ঘোষিত হল। রাজ্য হেরিটেজ কমিশন শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্যের অন্য বেশ কিছু নির্দশনের সঙ্গে খেজুরির শতাব্দীপ্রাচীন ভগ্নপ্রায় ডাকঘরটিকে ঐতিহ্যভবন ঘোষণা করল। এই ঘোষণায় খুশি খেজুরির ইতিহাসপ্রেমী মানুষ। এবার ভবনটি বাঁচবে। সরকারি উদ্যোগে সংস্কার ও সংরক্ষণ হবে। প্রাচীন ভবনের বেশিরভাগ অংশই ভেঙে পড়েছে। তিনতলায় সিঁড়িঘরটিই রয়েছে।

আরও পড়ুন-গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিজেপি

ভিতরে বাদুড়-চামচিকের বাসা। ঝোপঝাড়ে ঢেকেছে। অথচ, কয়েক দশক আগেও লোহার ঘেরানো সিঁড়ি-সহ সুদৃশ্য ত্রিতল ভবন ও ১২টি কক্ষবিশিষ্ট ব্যারাক ছিল। বেশ কিছুদিন আগে হেরিটেজ কমিশনের এক প্রতিনিধিদল এই ডাকঘর ও বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখেন। খেজুরি হেরিটেজ সুরক্ষা সমিতির সভাপতি তথা খেজুরি কলেজের অধ্যক্ষ অসীমকুমার মান্না ও সম্পাদক প্রাক্তন বিধায়ক রামচন্দ্র মণ্ডল জানান, সেই ১৯৭৮ থেকে নানা মহলে আবেদন করে এসেছেন।

Latest article