ঋণের দায়ে জর্জরিত। ৩ সন্তানকে হত্যা করে আত্মহত্যা করলেন দম্পতি (Mass suicide in Karnataka)। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের সদাশিব নগরে। মৃতরা হলেন গরীব সাব (৪২) ও তার স্ত্রী সুমাইয়া (৩৫) এবং তাদের তিন সন্তান হাজিরা (১৪), সুবহান (১০) ও মুনির (৮)। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাজ্যের মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লেখা সেই সুইসাইড নোটে এই পরিণতির জন্য প্রতিবেশীদের দায়ী করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ওই পরিবারের পাঁচ সদস্য মৃত্যুর (Mass suicide in Karnataka) আগে একটি ভিডিও করে। সেই ভিডিও পাঠানো হয় এক আত্মীয়ের কাছে। একইসঙ্গে ২ পাতার একটি সুইসাইড নোটও লেখা হয় কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরেমশ্বরকে উদ্দেশ্য করে। যেখানে লেখা হয়েছে, গরীব সাব নামে ওই ব্যক্তি এলাকায় একটি কাবাবের দোকান চালাতেন। কয়েক বছর আগে একটি সংস্থার কাছ থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু অর্থের অভাবে ঋণের সেই টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। ৪২ বছরের ওই ব্যক্তি আরও জানিয়েছেন যে তিনি সিরা তালুকের লাক্কানাহল্লির বাসিন্দা। কিন্তু সন্তানদের শিক্ষার জন্য কয়েক বছর আগে তুমাকুরুতে চলে এসেছিলেন। কিন্তু ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ না করার জন্য প্রায় সংস্থার তরফে লোক আসত। আর এটা জানাজানি হয় প্রতিবেশীদের মধ্যে। এর জন্য প্রতিবেশীদের ঘৃণা ও বঞ্চনা সহ্য করতে হয়েছে তাকে। শেষ পর্যন্ত এই বঞ্চনা সহ্য করতে না পেরেই আত্মহননের পথ বেছে নিলেন বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযুক্ত প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন।
আরও পড়ুন- কথা রাখলেন অভিষেক, ১০০দিনের বকেয়া না পাওয়া বঞ্চিতদের বাড়িতে পৌঁছল আর্থিক সাহায্য!
সুইসাইড নোট অনুসারে পাঁচ প্রতিবেশীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তুমাকুরুর জেলার পুলিশ সুপার অশোক কেভি। সেই সঙ্গে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে ওই পুলিশ সুপার। এদিকে, তিলক পার্ক থানার পুলিশ জানিয়েছে এক পরিবারের পাঁচ সদস্যে অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটনার কথা জানিয়ে ২৬ নভেম্বর সন্ধেতে একটি ফোন আসে। এরপর পুলিশ গিয়ে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে। দম্পতিকে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং তিন শিশুকে বিছনায় মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। শিশুদের গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।