কুয়াশায় ঢেকে গিয়েছে চারদিক। মুম্বই থেকে গুয়াহাটিগামী ?(Guwahati) উড়ান তাই জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশের ঢাকায় (Dhaka) অবতরণ করল। বিমানটি এই কুয়াশার ফলেই অসমের গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নামতে পারেনি। সেখান থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানের মধ্যেই প্রায় ৯ ঘন্টা বসে থাকতে হয় যাত্রীদের। অন্য উড়ানের সাহায্যে যাত্রীদের দেশে ফেরত আনা হবে এমনই পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-নাবালিকা ধ.র্ষণে অভিযুক্তকে জামিন বম্বে হাই কোর্টের
বিমানটি রাত সাড়ে ৮টার সময় মুম্বই বিমানবন্দর থেকে ছাড়ে এবং গুয়াহাটিতে অবতরণ করার সময় ছিল রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ। কুয়াশার ফলে বিমান সেখানে অবতরণ করা যায় নি। বিপদ বুঝে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঢাকা বিমানবন্দরে সেটি অবতরণ করা হয়। পাসপোর্ট, ভিসা না থাকায় বিমানের মধ্যেই থাকেন যাত্রীরা। অন্য একটি উড়ানে যাত্রীদের কলকাতায় আনা হবে। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হবে কিনা এয়ারলাইন্সের তরফে এই নিয়ে কিছু জানানো হয় নি। এই ঘটনার জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন-পদ্ম পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী ডাঃ প্রভা আত্রে প্রয়াত
ভারতে গুয়াহাটির আশেপাশে বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর রয়েছে তবু সেখানে অবতরণ কেন করা হল না এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভারতে কোথাও বিমান অবতরণ করলে যাত্রীরা বিভিন্ন উপায়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারতেন। ঢাকায় অবতরণের ফলে পাসপোর্ট, ভিসা না থাকায় তাঁরা তা পারছেন না। মুম্বই যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান সুরজ সিং ঠাকুর ওই বিমানে যাত্রা করছিলেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি পোস্ট করে লেখেন, ‘আমি মুম্বই থেকে গুয়াহাটিতে ইন্ডিগোর ৬ই৫৩১৯ বিমানে যাচ্ছিলাম।ঘন কুয়াশার ফলে বিমানটি গুয়াহাটিতে অবতরণ করতে পারেনি। এটি ঢাকায় অবতরণ করেছে। যাত্রীরা এখনও বিমানের ভিতরেই রয়েছেন। আমি এখন ৯ ঘণ্টা ধরে বিমানের ভিতরে আটকে আছি। আমি ভারত জোড়ো যাত্রার জন্য মণিপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। দেখা যাক কখন আমি গুয়াহাটি যাই এবং তারপর ইম্ফল যাব।’