সংবাদদাতা, হাওড়া : অস্তিত্ব-সংকট থেকে সিপিএম যে আর কোনওদিনই মুক্তি পাবে না তা এদিন স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন মন্ত্রী অরূপ রায়। তাঁর কথায়, বাংলায় সিপিএম এখন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে। ওরাই রাজ্যে সাদা থান পাঠানোর রাজনীতি প্রথম শুরু করেছিল। তার ফল সিপিএম হাতেনাতে পেয়েছে। বাংলায় সিপিএম শূন্যে চলে গেছে। এবারের লোকসভা ভোটেও সিপিএম রাজ্যে শূন্যই থাকবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বালি পুরসভার সামনে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের এক ধিক্কার সভায় একথা বলেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন মন্ত্রী অরূপ রায়।
আরও পড়ুন-বকেয়া আদায়ের ব্যবস্থা পরিবহণ দফতরের
২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারি যুব তৃণমূলের ‘বালি পুরসভা চলো’ কর্মসূচিতে সিপিএম আশ্রিত সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। আক্রান্ত হন হাওড়া জেলা তৃণমূলের নেতা অরূপ রায়, রাজা সেন সহ আরও অনেকে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বালি পুরসভা অফিসের সামনে যুব তৃণমূলের ধিক্কার সভা হয়। সভায় মন্ত্রী অরূপ রায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাওড়া জেলা(সদর) যুব তৃণমূলের সভাপতি কৈলাস মিশ্র, প্রাক্তন কাউন্সিলর পল্টু বণিক, তফজিল আহমেদ, রিয়াজ আহমেদ, প্রবীর রায়চৌধুরী সহ আরও অনেকে। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী অরূপ রায় মন্তব্য করেন, সিপিএম তার কৃতকর্মের ফল হাতেনাতে পেয়ে গেছে। বাংলার মাটি থকে কার্যত মুছে গেছে সিপিএম। বিধানসভায় সিপিএম এখন শূন্য। বাংলার মানুষ ওদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস বদলা নয়, বদল চেয়েছিল। সেটাই হয়েছে। বাংলায় বাম-রাম এক হয়ে ফের অশান্তি ছড়াতে চাইছে। বাংলার মানুষ এবারও ওদের উপযুক্ত জবাব দিয়ে দেবেন। ধিক্কার সভায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল। যুব তৃণমূলের হাওড়া সদরের সভাপতি কৈলাস মিশ্র বলেন, সিপিএম এই রাজ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ওরা যেভাবে সন্ত্রাসের রাজনীতি করত তাতে মানুষই ওদের যথাযথ শাস্তি দিয়েছে।