রেড রোডের কুচকাওয়াজে এবারের মূল ভাবনা বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য

বিজেপির সাম্প্রদায়িক বিভাজনের প্রচেষ্টার জবাব দিতে এ বছর রাজ্যের সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের মূল ভাবনা ‘বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য’।

Must read

প্রতিবেদন : বিজেপির সাম্প্রদায়িক বিভাজনের প্রচেষ্টার জবাব দিতে এ বছর রাজ্যের সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের মূল ভাবনা ‘বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য’। রেড রোডে শুক্রবার বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছরের সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এই শীর্ষক একটি ট্যাবলো থাকছে।

আরও পড়ুন-বাংলায় সিপিএম অপ্রাসঙ্গিক, ধিক্কার সভায় বললেন মন্ত্রী অরূপ

রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের ওই ট্যাবলোতে মন্দির, মসজিদ এবং গির্জার প্রতিকৃতি রাখা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পের আওতায় ২২ জেলায় ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের ট্যাবলোতে এই সাফল্যকে তুলে ধরা হবে। কলকাতা পুলিশের ট্যাবলোর বিষয়বস্তু ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ।’ এছাড়া এপর্যন্ত রাজ্যের জিআই তকমা পাওয়া ২৭টি পণ্যকে এবছর রেড রোডের কুচকাওয়াজে তুলে ধরা হবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, জয় জোহার, তফসিলি বন্ধু, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্ল্যাকার্ড-সহ শোভাযাত্রায় শামিল হবেন। প্রতিবছরই ২৬ জানুয়ারি রেড রোডে কুচকাওয়াজের পর নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। গতবছর রেড রোডে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল দুর্গাপুজো নিয়ে বিশেষ ট্যাবলো। দিল্লিতেও সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে মাদুর্গা ও নারী শক্তির ক্ষমতায়ন শীর্ষক বাংলার ট্যাবলো প্রদর্শিত হয়। একই সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেও তুলে ধরা হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে রেড রোডে। ছৌ নাচ, বাউল গান, জঙ্গলমহলের শিল্পীদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। এবারেও থাকবে বৈচিত্র্যের স্বাদ।

আরও পড়ুন-বকেয়া আদায়ের ব্যবস্থা পরিবহণ দফতরের

এদিকে সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রেড রোড-সহ গোটা শহরেই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। রেড রোডে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ২৫০০ পুলিশ কর্মী। ২২ জন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার থাকছেন নিরাপত্তার দায়িত্বে। সঙ্গে থাকছেন ৪২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার। এ ছাড়া বহু মানুষ এদিন কলকাতায় বেড়াতে আসেন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যেমন ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানা, জাদুঘর-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেসব জায়গায় নজরদারির জন্য ১৭টি জ়োন ভাগ করা হয়েছে, যার দায়িত্বে থাকছেন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসাররা। সঙ্গে সাহায্য করবেন ১২৫ জন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদা অফিসার। দায়িত্বে থাকছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার-২ শুভঙ্কর সিনহা সরকার।

Latest article