এখানে রাজনীতি আনবেন না, দয়া করে।
শুধু কলকাতা বা ভারতে নয়, সারা পৃথিবী জুড়ে যেসব দম্পতি টেস্টটিউব বেবি (Test-Tube Baby) বা আইভিএফ করছেন বা করেছেন, এটা তাঁদের কাছে একটা ভীষণভাবে অপমানজনক মন্তব্য। মনে রাখতে হবে, আইভিএফ কিন্তু কোনও হালফ্যাশানের জামাকাপড় নয়, পাঁচতারা হোটেলের দামি ব্রেকফাস্ট নয় বা শখ করে কেনা ২২ লক্ষ টাকার গাড়ি নয়, যে লোকে শখ করে আইভিএফ করবে। যাঁরা করছেন, তাঁরা কতটা মানসিক ও শারীরিক ভাবে বিধ্বস্ত থাকেন, সেটা তাঁরা নিজেরাই জানেন। এটা শুধু বড়লোকেরা করছে (‘আমার বাবার টাকা দিয়ে আইভিএফ করছি তো কে কী বলবে’) তা নয়, আমাদের মতো গরিব দেশে অনেক নিঃসন্তান দম্পতি ঘটিবাটি বিক্রি করেও আইভিএফ-এর পথে এগোন, যখন সন্তানলাভের অন্য সব রাস্তা তাঁদের কাছে বন্ধ হয়ে যায়। এখনও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দম্পতিরা (সে মার্সিডিজ চড়ে যাঁরা আসেন, তাঁরাও) বলেন, দেখুন না, যদি স্বাভাবিক ভাবে প্রেগন্যান্সিটা আসে।
আরও পড়ুন-রাজ্যে বিরোধী দলগুলোর সীমাহীন রাজনৈতিক ভণ্ডামি
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আইভিএফ-এ যে বাচ্চা হয়েছে, সেটা বায়োলজিক্যালি সেই দম্পতিরই। কারণ তাঁদের শুক্রাণু ও ডিম্বাণু নিয়েই তো আইভিএফ (Test-Tube Baby) করা। কিন্তু যদি ডোনার শুক্রাণু বা ডিম্বাণু (যেটা দম্পতির অনুমতি নিয়ে করা হয়) ব্যবহার করা হয়, সেই ক্ষেত্রেও তো তাঁরাই বাবা-মা হলেন! যাঁরা এই পদ্ধতিতে সন্তান পান তাঁরা তাঁদের সন্তানকে ভালবাসেন না, নাকি দামি গাড়ি কিনে দেওয়াই ভাল বাবা হওয়ার একমাত্র যোগ্যতা! এটা আমার মতামত মাত্র। খারাপ লাগলে প্লিজ ক্ষমা করে দিয়ো।
শতরূপকে ‘শিক্ষিত’ বলেই জানতাম, কথাবার্তায় বেশ রুচিসম্মত ও যৌক্তিক মনে হত। কে জানে ‘বিদ্যা দদাতি বিনয়ং বিনয়াদ্ যাতি পাত্রতাম্’ কথাটা বোধহয় শ্লোকেই রয়ে গেছে, বাস্তবে হয় না।