প্রতিবেদন : বাম-রামের অশুভ আঁতাঁত এবার আরও বেশি স্পষ্ট। আরও বেশি করে প্রকট হল সিপিএমের (CPM- BJP) দু’মুখো নীতি। একদিকে সোমবার দলীয় মুখপত্র গণশক্তিতে মোদির মুখ-দেওয়া বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছে বড় করে। অন্যদিকে, সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র গুণগান করছেন বিজেপির। আবার বিরোধী দলনেতাও পাল্টা বলছেন, সিপিএম ‘ভাল’। নন্দীগ্রামে আমি সিপিএমের ভোটেই জিতেছি। একে কী বলবেন? বাম-রামের অশুভ আঁতাঁত নাকি বহু চেষ্টা করেও তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে না পেরে নিজেদের অক্ষমতা প্রমাণিত হওয়ার জেরে একে অপরের কাঁধে ভর দিয়ে অস্তিত্ব রক্ষার অক্ষম চেষ্টা? বিজেপির গুণগান করা নিয়ে সূর্যকে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, উনি সিনিয়র নেতা। তাঁরা যে কথা বলেন, তাতে নিজের দলের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই৷ ওঁদের নীতিই হল দু’মুখো৷ একবার বলবেন করা যাবে না৷ আবার সেই কাজটাই করছেন। মুখে এক, কাজে আর-এক। বামেরা বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে বলেই তো বিজেপি বেড়েছে! মুখে বিজেপি-বিরোধিতার কথা বলা হলেও আসলে ওরা বিজেপিকে সমর্থন করছেন।
মুখে আদর্শের বড় বড় বুলি কপচানো বঙ্গ-রাজনীতিতে শূন্য হয়ে যাওয়া বামেরা কখনও কংগ্রেস কখনও বিজেপিকে জাপটে ধরে বাঁচার চেষ্টা করছে। তাই নিজেদের দলীয় মুখপত্রে মোদির মুখ দেওয়া বিজ্ঞাপন বড় করে ছেপে দলের নিচুতলার নেতা-কর্মীদের বার্তা দিচ্ছে বামেরা!
আরও পড়ুন-বাণিজ্যিক গাড়িতে এবার প্যানিক বাটন
আজীবন বিজেপিকে (CPM- BJP) সাম্প্রদায়িক দল বলে অভিহিত করা বামেদের কাছে এখন কি তবে মোদি অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির পোস্টার বয়? কী বলবেন কমরেড? উত্তর আছে? নাকি এবারও আমতা আমতা করবেন? খেই হারিয়ে যেমনটা করছেন আপনাদের সুজন চক্রবর্তী। আসলে বহুকাল হল খেই হারিয়েছে বামেরাই। গণশক্তিতে মোদির বিজ্ঞাপন ছাপা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, গণশক্তি একটি দলের কাগজ। এটা আর পাঁচটা সংবাদপত্রের মতো নয়। সেখানে নরেন্দ্র মোদির ছবি দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি নেতারা উদ্বোধন করবেন একটা কর্মসূচির যদি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় তাহলে তো এটাই প্রমাণিত হয় যে, টাকার জন্য আমি আমার কমরেডদের কাছে বিজেপিকেই প্রোমোট করছি। এটাই কি বিজেপির বিরুদ্ধে সিপিএমের নীতিগত লড়াই?