সংবাদদাতা, হাওড়া : পুড়ে যাওয়া মঙ্গলাহাটের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা তৈরি করতে গিয়ে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, একজনের নামের জায়গায় একাধিক ব্যবসায়ী বেচাকেনা করলেও তাঁদের সবার নামে কোনও নথিপত্র নেই। ফলে তালিকা তৈরি করতে গিয়ে সবার নাম পাওয়া যাচ্ছে না। যাঁদের নামে নথিপত্র রয়েছে তাঁদের নামই প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তালিকায় রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশ থেকে এলে ডেঙ্গি পরীক্ষার প্রস্তাব
তবে ক্ষতিগ্রস্তদের নামের চূড়ান্ত তালিকা তৈরির সময় ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য জানান, ‘‘ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তদন্ত কমিটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা তৈরি করছে।’’ এদিকে পুড়ে যাওয়া অংশটা বাদ দিয়ে মঙ্গলবার বাকি অংশে মঙ্গলাহাট বসেছে। হাটের পুড়ে যাওয়া অংশটা পুলিশের পক্ষ থেকে সিল করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-৬৫ তলা থেকে বেস জাম্প, ডুরান্ড কাপের ট্রফি উন্মোচনে অভিনবত্ব
পশ্চিমবঙ্গ বস্ত্রশিল্প ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কামাখ্যা সাহা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। সরকার গ্যারান্টার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ভবিষ্যৎ প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার কথাও তিনি জানিয়েছেন। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি, প্রয়োজনে জমিটি অধিগ্রহণ করে সরকার ওখানে নতুন করে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করে দিক।’’ উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায় মঙ্গলাহাটের বহু দোকান। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই অগ্নিকাণ্ডের সিআইডি তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-দু’ম্যাচের জন্য নির্বাসিত হরমন
পাশাপাশি সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, জেলাশাসক মুক্তা আর্য, পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী ও দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের একজন করে আধিকারিককে নিয়ে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্যে আরও একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তাঁরা জমির মালিকানা কার নামে রয়েছে তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানছেন।