টাইব্রেকারে বাজিমাত, শেষ আটে ক্রোয়েশিয়া

Must read

জাপান ১ ক্রোয়েশিয়া ১ (অতিরিক্ত সময়ের শেষে)
জাপান ১ ক্রোয়েশিয়া ৩ ( টাইব্রেকারে)

লিভাকোভিচের নাম খুব বেশি লোক জানেন না। কিন্তু এখন জানবেন। যেহেতু টাইব্রেকারে জাপানিদের নেওয়া চারটি শটের তিনটিই তিনি বাঁচিয়ে দিলেন!

কাতার বিশ্বকাপে এটাই প্রথম ম্যাচ যেটা টাইব্রেকার পর্যন্ত গেল। আর তাতে জাপানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে চলে গেল লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া। নির্ধারিত সময়ে ১-১ হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়েও একই ফল থাকল খেলার। কিন্তু জাপানের ১২০ মিনিটের তুল্যমূল্য লড়াই টাইব্রেকারে এসে মুখ থুবড়ে পড়ল।
মিনামিনো ও মিতোমার প্রথম দুটি শট আটকে দিয়েছিলেন ক্রোট গোলকিপার লিভাকোভিচ। এরপর আসানো গোল করলেও অধিনায়ক যোশিদার শট আবার বাঁচিয়ে দেন লিভাকোভিচ। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে তৃতীয় শট মিস করেছেন লিভাজা। বাকি পেনাল্টিতে গোল করে যান ব্লাসিচ, ব্রযোভিচ ও পাসালিচ। আগেই ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ায় শেষ শটের আর দরকার পড়েনি।

আরও পড়ুন- কঙ্কালেশ্বরী মন্দিরে গণবিবাহে সম্প্রীতির বার্তা

চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গোল করেছিলেন ইভান পেরিসিচ। ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলে যাঁকে দাভর সুকেরের সঙ্গে তুলনা করা হয়। সেই পেরিসিচ এদিন বক্সের ভেতরে ভয়ঙ্কর পাওয়ারফুল হেডে দলকে সমতায় ফিরিয়ে এনেছিলেন। বিশ্বকাপে পেরিসিচের এটা ষষ্ঠ গোল। স্কোরশিট এই গোলের পর দাঁড়াল ১-১।

দোহার আল জানুব স্টেডিয়ামে জাপান কিন্তু ভালই শুরু করেছিল। অনেকের কাছে এটা ছিল গতি বনাম শিল্পের ম্যাচ। গতি অবশ্যই জাপানের। আর শিল্প ক্রোটদের। এই শিল্পই দেখা গেল দ্বিতীয়ার্ধের খেলায়। ইভানোভিচ, পেরিসিচরা প্রথমার্ধের জড়তা ঝেড়ে ফেলে চেপে ধরেছেন জাপানকে। মুহুর্মুহু আক্রমণে জাপানের ডিফেন্স তখন দিশাহারা অবস্থায়।
৪৩ মিনিটে গোল করে জাপানকে ১-০ এগিয়ে দিয়েছিলেন দাইজেন মাইদা। রিৎসু দুয়ানসের ক্রস থেকে বল পেয়ে গোল করে বেরিয়ে যান তিনি। এই গোলের পর ক্রোয়েশিয়া সমতা ফেরানোর অনেক চেষ্টা করেছে। পেটকোভিচ বক্সের মধ্যে পড়ে গেলেও রেফারি পেনাল্টি দেননি। তার আগে কোরাসিচের লং রেঞ্জার বাইরে গেল। লুকা মদ্রিচের শট বাঁচিয়ে দেন জাপানি গোলরক্ষক সুইচি গোন্ডা।

ক্রোটরা যেমন বুদ্ধি করে খেলার গতি কমিয়ে আনছিল, তেমনই জাপান আবার মদ্রিচের জন্য ডবল কভারিং রেখেছিল। যাতে ক্রোয়েশিয়ার এক নম্বর প্লেয়ার ওপেন জোনে খেলতে না পারেন। কিন্তু কাতারের মতো গরম দেশে রিজার্ভ বেঞ্চও সমান শক্তিশালী হওয়া দরকার। যেটা জাপানের ছিল না। অথচ শেষ আটে উঠে আসা অনেক দলের কাছেই এই সুবিধা রয়েছে। ক্রোটদেরও সেটা ছিল। শেষপর্যন্ত খেলার ফল ছিল ১-১। কিন্তু টাইব্রেকারে জাপান চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে।

Latest article