প্রতিবেদন : আগামী কয়েকদিন রাজ্যজুড়ে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় জীবন-সম্পত্তি ও শস্যহানি আটকাতে রাজ্য সরকার জেলাগুলিকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী কয়েকদিন রাজ্যজুড়ে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ঝড়-বৃষ্টিতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হতে পারে। মাঠে থাকা কৃষিজ পণ্যের ক্ষতি হতে পারে। সেই ক্ষতির আশঙ্কা করে বিভিন্ন জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করেছে নবান্ন।
আরও পড়ুন-মধ্যপ্রদেশে বেকারত্বের হাহাকার
উল্লেখ্য, এইসময় মাঠে গরমকালের সবজি চাষ হচ্ছে। মাঠে রয়েছে বোরো ধান ও রবি ফসল। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টি সব ফসলের ক্ষতি করতে পারে। তাই নবান্নের তরফ থেকে প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। মাঠে এখন আলু তোলার কাজ চলছে। নতুন আলু যাতে অতিরিক্ত জলে নষ্ট না হয়ে যায় সেদিকে নজর রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। তবে রাজ্য কৃষি দফতরের প্রধান আবহাওয়াবিদ মৃণালকুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, এইসময় পাটের চাষ শুরু হচ্ছে। বৃষ্টি হলে পাটচাষের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টিপাত সেইভাবে হয়নি বিগত কয়েকমাস। তাই বৃষ্টিতে পাট চাষে সুবিধাই হবে।
আরও পড়ুন-অ্যাডিনোর সংক্রমণ নেই হাওড়াতে
এইসময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে। বজ্রপাত থেকে মৃত্যু হয়। বজ্র-বিদ্যুতের সঙ্গে বৃষ্টি হলেও মৃত্যু হয়। তাই নবান্নে তরফে ঝড়-বৃষ্টির সময় বাড়ির বাইরে না বেরোনোর কথা বলা হয়েছে। ওই সময় খোলা আকাশের নিচে না থাকার কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে বিশেষ সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন জেলাগুলিতে বিগত কয়েকমাসে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে বৃষ্টি হলে সেই জল সঞ্চয় হবে। তাই বৃষ্টি হলে কিছু ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হয়। বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হওয়ার কথা বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। শুক্রবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় কালবৈশাখী হবে।