সংবাদদাতা, কাটোয়া : একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকদের ঘুরে দাঁড়াতে ভরসা ‘বাংলা ফসলবিমা’র ক্ষতিপূরণ। তাই দ্রুত ক্ষতিপূরণ ও আরও বেশি সংখ্যক কৃষককে ফসলবিমার আওতায় আনায় বাড়তি উদ্যোগ নিল প্রশাসন।
আরও পড়ুন-বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে হার, হতাশ বাংলা
ডিসেম্বরের মধ্যেই বিমার আওতায় থাকা সমস্ত কৃষক যাতে ক্ষতিপূরণ পান, সে ব্যাপারে বিমা সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে। জানালেন জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি দেবু টুডু। নিয়ম হল, ৪৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেবে বিমা সংস্থা। না দিলে সুদসমেত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জেলায় বিমার আওতায় থাকা জমির পরিমাণ ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩৭৬ একর। এর মধ্যে বোরো ১,৯৪,৪৮৩ একর, সরষে ১ লক্ষ একর, তিল ৭৮ হাজার ও আলু ২৯,০৬৪ একর।
আরও পড়ুন-সাগরে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক, থার্মোকল
সবমিলিয়ে ৬ লক্ষ ৩৫ হাজার ৩৭০ জন কৃষক ‘বাংলা ফসলবিমা’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন। বিমা সংস্থা সূত্রে খবর, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৭৭১ জন। ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ৬২ কোটি ৭৮ লক্ষ ৭৫৫ টাকা। এর মধ্যে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৪০৭ জন কৃষকের অ্যাকাউন্টে ২৮ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা ঢুকেছে।
আরও পড়ুন-পথদুর্ঘটনা, খুব জোর বাঁচলেন সায়ন্তিকা
তবে জমা দেওয়া নথি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গন্ডগোল থাকায় অনেকের টাকা ঢুকছে না। তাই বিমার টাকা দ্রুত পৌঁছে দিতে কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঠিক করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এদিকে নিম্নচাপের বর্ষণে রবি ফসলের সুরক্ষায় কীভাবে জমি তৈরি হবে, কোন ফসলে কী ওষুধ ব্যবহার করতে হবে, সে ব্যাপারে কৃষকদের অবহিত করতে প্রচারপত্র বিলি শুরু করেছে কালনা মহকুমা কৃষি দফতর।