প্রতিবেদন : ফের দুর্যোগের ভ্রুকুটি রাজ্যে। দক্ষিণ চিন সাগরে জন্ম নেওয়া ঘূর্ণাবর্ত মায়ানমার টপকে চলে এসেছে বঙ্গোপসাগরের বুকে। সেখানেই এদিন সে নিম্নচাপের চেহারা নিচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দফায় দফায় শক্তি বাড়িয়ে সে পরিণত হতে চলেছে সুস্পষ্ট গভীর শক্তিশালী গভীর নিম্নচাপে। আর সেই নিম্নচাপ ওড়িশা দিয়েই প্রবেশ করবে দেশের মূল ভূ-খণ্ডে। যাবে সে ছত্তিশগড়ের পথে। কিন্তু তার লেজের ঝাপটা লাগবে বাংলার উপকূলবর্তী দুই জেলা এবং পশ্চিমের ৪টি জেলায়। আর সেই কারণেই রাজ্যের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একইরকম ভাবে বাংলা ও ওড়িশার উপকূলবর্তী পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের যাওয়ার ক্ষেত্রেও সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-স্বাধীনতার রং এখন কেমন? কেমন আছে দেশের মন?
জানা গিয়েছে, এদিন বঙ্গোপসাগরে চলে আসা চিনা ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপের চেহারা নেবে। তারপর ধাপে ধাপে সে পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে। তার জেরে আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার থেকেই বাংলার বুকে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। বইবে ঝোড়ো হাওয়াও। আগামিকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর এই দুই জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনায়, কলকাতায়, হাওড়ায় ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কিছু কিছু এলাকায়। সোমবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায়। বাংলার তুলনায় এই নিম্নচাপের জন্য বেশি বৃষ্টি ও ক্ষয়ক্ষতি হবে ওড়িশায়। তবে এই নিম্নচাপের হাত ধরে বাংলার বুকে বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি ঝরবে যা কৃষিক্ষেত্রে জলের ঘাটতি কিছুটা হলেও মেটাতে পারবে।
আরও পড়ুন-যেভাবে ৭৫ পূর্তি পালন করবে বাংলা
সেই সঙ্গে ডিভিসির জলাধারগুলিতে যে জলাভাব দেখা দিয়েছে তার প্রকোপও কিছুটা কমবে বলেই আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন। আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে শনিবার রাত থেকেই ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার বেগ। সেই কারণে এদিন থেকে সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না-যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দীঘা, মন্দারমণি, সাগরদ্বীপ-সহ উপকূলবর্তী সমুদ্রতটে পর্যটকদের সমুদ্রে না নামার ক্ষেত্রেই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এদিন রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি হতে পারে। তাই সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনাও থাকছে। এই নিম্নচাপের হাত ধরে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় মাঝারি মাত্রায় বৃষ্টি হবে।