প্রতিবেদন : এগারো বছর বয়স থেকেই ক্রিকেট প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন তিতাস সাধু। খেলার সুযোগ পেতে, নিজেকে তৈরি করতে ছেলেদের সঙ্গেও ক্রিকেট খেলেছেন সদ্য বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলের সদস্যা। হুগলির চুঁচুড়ার মেয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাচের সেরা হয়েছেন। ফাইনালের পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও তিতাসের পরিবারের এখনও ঘোর কাটছে না। মেয়ের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন-তিন জেলায় ট্যুরিজম সার্কিট
তিতাসের বাবা রণদীপ সাধু নিজে অ্যাথলিট ছিলেন। ফোনে বলছিলেন, ‘‘আমরা ওকে ক্রিকেট খেলার জন্য সব সময় উৎসাহ জুগিয়েছি। ছোটবেলায় ছেলেমেয়েরা সাধারণভাবে অনেক খেলাই খেলে। তিতাসও সাঁতার, অ্যাথলেটিক্স, ভলিবল খেলেছে। কিন্তু ক্রিকেটই ওর ধ্যান-জ্ঞান হয়ে ওঠে। যখন বুঝতে পারলাম, ক্রিকেট থেকে ওকে দূরে রাখা সম্ভব নয়, তখন আমি ওকে সবরকমভাবে সাহায্য করি। যাতে ও ভালভাবে ক্রিকেট খেলতে পারে।’’ তিতাসের বাবা আরও বলেন, ‘‘অনূর্ধ্ব ১৯ বাংলা দলে খেলার পর মেয়েকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বোর্ডের অনূর্ধ্ব ১৯ টি-২০ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়। তাতেই জাতীয় নির্বাচকদের নজরে পড়ে। তবে এবার আমরা চাই, মেয়েদের আইপিএলে ভাল খেলে তিতাস সিনিয়র জাতীয় টি-২০, ওয়ান ডে দলে জায়গা নিশ্চিত করুক।’’
এদিকে, মঙ্গলবার চুঁচুড়ায় তিতাসের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দিলেন স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার এবং অসীমা পাত্র।