প্রতিবেদন : বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি অব্যাহত। লোকসভা ভোটের আগে তা চরম পর্যায়ে পৌঁছল। পরাজয়ের হাতছানি যে প্রকট হয়ে উঠেছে তা এজেন্সির বাড়বাড়ন্তই প্রমাণ করে দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ গ্রেফতার হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal Arrest)। রাতেই তাঁকে ইডির সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সকালে আদালতে পেশ। পাল্টা আপও রাতে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রতিবাদে রাস্তায় সমর্থকরা।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর বেআইনি প্রচারে ‘না’ কমিশনের
আবগারি মামলাকে শিখণ্ডি করে বিজেপি দিল্লি দখলের চক্রান্তের চিত্রনাট্য তৈরি করে ফেলে। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকার অথচ দিল্লির সরকার তাদের দখলে নেই। অর্থ দিয়ে বিধায়ক কেনা-বেচাও করা যায়নি। তাই প্রথমে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়া তারপর সত্যেন্দ্র জৈন, সঞ্জয় সিং এবং শেষে অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal Arrest)। কেজরিকে বেশ কয়েকবার ইডি সমন পাঠায়। এই সমনকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। হাইকোর্টে রক্ষাকবচ না মেলায় বিজেপির উদ্দেশ্য চরিতার্থ হয়। সন্ধ্যায় জেরার সময় বাহিনী আনা হয়। তখনই ভবিষ্যৎ স্পষ্ট হয়ে যায়। গত মাসেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে জমি কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয়। বিরোধী রাজ্যগুলি বিজেপির কাছে মাথা নত না করলেই এজেন্সি দিয়ে গ্রেফতারের চিত্রনাট্য তৈরি করা হচ্ছে। ভোটের আগে চরম পদক্ষেপ। কিন্তু বিরোধীদের এভাবে বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে বিজেপির জয় কি আদৌ সম্ভব? মোদি-শাহদের পায়ের তলার মাটি সরেছে স্পষ্ট হচ্ছে। তাই প্রতিহিংসার রাজনীতি।
তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেফতার হওয়ার এক্স হ্যান্ডেলে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আগেই বেআইনি অর্ডিন্যান্সের মধ্যে দিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এবার তাঁকে গ্রেফতার করা হল। ভোটের আগে যেভাবে বিরোধী দলের প্রধান, মুখ্যমন্ত্রী, নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, কীভাবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আশা করতে পারি! এখনও সুপ্রিম কোর্ট ও নির্বাচন কমিশন যদি হস্তক্ষেপ না করে মানুষের স্বার্থে তাহলে কি বিজেপির এই ঘৃণ্য রাজনীতি আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ।