৭ ঘন্টা অবসেরভেশনে ছিল শিশুটি (newborn)। তারপরেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। ডেথ সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হল পরিবারের হাতে।শিশুটিকে শেষকৃত্যের জন্য নিয়েও যাওয়া হয়েছিল। হঠাৎ করেই লক্ষ্য করা হয় শিশুটির শেষকৃত্য করতে গিয়ে দেহে প্রাণ আছে। নিঃশ্বাস নিচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা খুশি হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তারা। সদ্যজাত শিশুর দেহ কবর দিতে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা বুঝলেন এটা।
আরও পড়ুন-বাসের উইন্ডস্ক্রিনে রুট লেখা বোর্ড নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ
দেরি না করে সেই শিশুকে নিয়ে আসা হয় ঘাটাল হাসপাতালে। আবার ভর্তি করে ঘাটাল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকের শাস্তির দাবি তুলেছে শিশুটির পরিবার। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁদের শান্ত করে।
শনিবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি হন মনলিশা খাতুন। দুপুরে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। ওজন কম ছিল। বিকেলে পরিবারকে জানানো হয় শিশুটি মারা গিয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেট দেন চিকিৎসকরা। শিশুটিকে কবর দিতে গিয়ে দেখা যায় দেহে তখনও প্রাণ আছে শিশুটির। শ্বাস–প্রশ্বাস চলছে। হাসপাতলে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন-কুয়ো থেকে এক তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য
এই মর্মে হাসপাতালের সুপার সুব্রত দে বলেন, ‘বাচ্চাটার জন্মের পর খুবই কম ওজন ছিল। মাত্র ৪৪০ গ্রাম ওজন ছিল। দুপুরে ওকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। সাত ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখে তারপর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তারপর শুনলাম মাটি দিতে গিয়ে শিশুটির পরিবার দেখে দেহে প্রাণ আছে। তারপর ওরা ফের তাকে হাসপাতালে আনে। আমরা ঘটনার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’