প্রতিবেদন : চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সুদানে শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ। সে দেশের সেনা ও আধাসেনার লড়াইয়ের ফলে এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চারশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে আছে বহু শিশু। জখম হয়েছেন সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ। হাসপাতালের উপরেও হামলা চালানো হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই গৃহযুদ্ধের কারণে ভারতীয়-সহ বহু বিদেশি নাগরিক সুদানে আটকে পড়েছেন। এরই মধ্যে সে দেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন-এয়ার ইন্ডিয়াকে জরিমানা, যাত্রীকে হেনস্তা
জাহাজ ও বিমানে করে ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরানো হচ্ছে। ভারত সরকার এই উদ্ধার অভিযানের নাম দিয়েছে কাবেরী। দেশে ফিরতে ইচ্ছুক ভারতীয়দের পোর্ট সুদানে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। হু-র তরফে জানানো হয়েছে, শেষ ১০ দিনে অন্তত দশটি হাসপাতাল লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে বিবদমান দুই গোষ্ঠী। ঘটনার জেরে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যা সমস্যা আরও বাড়িয়েছে। কারণ হাসপাতালগুলিতে আহত মানুষের ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। হু-র অন্যতম মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেছেন, এই যুদ্ধে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। হাসপাতাল বন্ধ থাকায় তাঁদের চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চিকিৎসা না পেয়ে আরও বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
প্রবল যুদ্ধের কারণে সুদানে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসই প্রায় অমিল। দোকান-বাজার বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকছে।
আরও পড়ুন-নারীরাই উচ্ছেদ করবে বিজেপিকে
ফলে সাধারণ মানুষ কেনাকাটাও করতে পারছেন না। মাত্রাতিরিক্ত দামের কারণে বেশিরভাগ মানুষই প্রয়োজন থাকলেও জিনিসপত্র কিনতে পারছেন না। খাদ্য সংকটে ভুগতে শুরু করেছে সে দেশের মানুষ। পাশাপাশি ওষুধ ও পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। মিলছে না শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় দুধ। যুদ্ধ কবে থামবে এখনও পর্যন্ত তার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। তাই সুদানবাসীর এই দুর্দশা কবে কাটবে তার উত্তর এখনও অজানা।