সিকিমের ধসে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

অনুমান করা হয়, কমপক্ষে ১৫০ জন পর্যটক আটকে পড়েছেন। সিকিম পর্যটন দফতরের কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন।

Must read

পূর্ব সিকিমের (East Sikkim) ১৭ মাইলের কাছে জেএন রোডে মারাত্মক পরিমান তুষার ধস নামে৷ এর ফলে বেশ কয়েকজন পর্যটক ধসের জেরে ছিটকে নীচে পড়ে যান। যদিও কয়েকজন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও সিকিম পুলিশ এর মধ্যেই উদ্ধারকার্য শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত ছ’জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ছাঙ্গু লেক যাওয়ার পথে এই ধস নামে।অনুমান করা হয়, কমপক্ষে ১৫০ জন পর্যটক আটকে পড়েছেন। সিকিম পর্যটন দফতরের কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন।

আরও পড়ুন-আইপিএলে কোভিড এন্ট্রি, আক্রান্ত তারকা ক্রিকেটার

ক্রমশ পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়। উদ্ধারকাজ চালাতে এনডিআরএফের জওয়ানরা উপস্থিত হন৷ তাঁরা ওই বরফের স্তুপের মধ্যে থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করেন৷ এখনও পর্যন্ত মৃত্যুমুখে ২২ জন পর্যটককে উদ্ধার করেছেন তারা৷ এর মধ্যে ছ’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর মোট ২০টি গাড়ি এই ধসের কবলে পড়েছে৷ মোট ৩৫০ জন পর্যটক রয়েছে ৷ উদ্ধার হওয়া পর্যটকদের আপাতত গ্যাংটকের এসটিএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷

আরও পড়ুন-‘একবছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে’, পরিদর্শন করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রসঙ্গত কলকাতায় তাপমাত্রা বেশি তবে উত্তরবঙ্গ ও সিকিম জুড়ে মাঝে-মাঝেই ঝড় বৃষ্টি দেখা যাচ্ছে৷ সিকিমের অনেক অঞ্চলে এই বৃষ্টির প্রভাবে ধসের প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে যার ফলে বিপদে রয়েছে পর্যটকেরা।

এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘সিকিমের মর্মান্তিক ঘটনায় গভীরভাবে ব্যথিত। তুষারধসের কারণে অনেকেই বহু মূল্যবান প্রাণ হারিয়েছে। আমি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই এবং যারা আহত হয়েছে তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। সকলের সুস্থতা ও নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করছি।’

 

Latest article