নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতার স্বার্থেই সংসদে আলোচনা-বিতর্কে অংশগ্রহণের পক্ষপাতী তৃণমূল কংগ্রেস। সঠিক সংসদীয় কৌশলে বাজেট অধিবেশনের প্রথমদিন থেকেই তৃণমূলের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা। বিশৃঙ্খলা নয়, আলোচনা চায় তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের সিদ্ধান্ত হল, রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের পর ধন্যবাদজ্ঞাপনে বিরোধীদের জন্য যে সময় বরাদ্দ রয়েছে, তার আগে সদ্ব্যবহার করা হোক। ধন্যবাদজ্ঞাপক ভাষণের জন্য মোট বরাদ্দ সময় ১২ ঘণ্টা।
আরও পড়ুন-ধসের জেরে জোশীমঠে বন্ধ নির্মাণকাজ
কংগ্রেসের রয়েছে দেড়ঘণ্টা এবং তৃণমূলের ৪০ মিনিট। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, আমরা এই সময় নষ্ট করতে চাই না। কোন দল ছোট, কোন দল বড়, সেটা বড় কথা নয়। সম্মিলিতভাবে বিরোধীদের তরফে মূল্য ইস্যুগুলি সংসদের দুই কক্ষে তুলে ধরাই এই মুহূর্তে প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী সোমবার আলোচনা শুরুর কথা থাকলেও, কয়েকটি বিরোধী দল বিক্ষোভের পক্ষেই ছিল। এরপর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রস্তাব মেনে মঙ্গলবার ২টোর পর রাজ্যসভায় আলোচনা শুরু হবে। বিরোধী ঐক্য ও দলগুলির মধ্যে সমন্বয় খুবই ভাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন।
আরও পড়ুন-পরীক্ষা পে চর্চায় খরচ বাড়ছে
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মঙ্গলবার প্রথম থেকেই আলোচনা চলতে পারে। প্রশ্নোত্তর পর্ব থেকেই আলোচনা শুরুর পক্ষে ট্রেজারি বেঞ্চও। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর জবাবি ভাষণ হওয়ার কথা লোকসভায়। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ফের বৈঠক হবে বিরোধীদের। যদিও একই অবস্থান বজায় রেখে সেখানে যাবে না তৃণমূল কংগ্রেস।