নয়াদিল্লি, ৭ মে : সঞ্জু স্যামসনের আউট বিতর্কের মধ্যে রাজস্থান রয়্যালসকে ২০ রানে হারিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে ভালভাবেই থাকল সৌরভ দিল্লি ক্যাপিটালস (DC-RR)। ঋষভ পন্থরা উঠে এলেন পাঁচ নম্বরে। রাজস্থানের অপেক্ষা বাড়ল। শীর্ষে থাকা কেকেআরের পর ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই সঞ্জু স্যামসনের দল। দিল্লির জয়ে আম্পায়ারিং নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়।
ফিরোজ শাহ কোটলায় এদিন দিল্লির ২২১ রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থানের ইনিংস থেমে গেল ২০১ রানে। দিল্লিকে জেতানোর কারিগর দুই ওপেনার বাংলার অভিষেক পোড়েল, অস্ট্রেলীয় জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক এবং স্পিনার কুলদীপ যাদব। অভিষেক ও ম্যাকগার্ক দু’জনেই ঝোড়ো হাফ সেঞ্চুরি করেন। ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা কুলদীপ।
আরও পড়ুন- ভোটের মাঝে বিজেপিতে ধাক্কা, সংখ্যালঘু হরিয়ানা সরকার
রাজস্থানের (DC-RR) হয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে একা লড়াই করেন অধিনায়ক সঞ্জু। ম্যাচ নিশ্চিতভাবেই ছিল রাজস্থানের হাতে। মাত্র ৪৬ বলে ৮৬ রান করে আউট হন মুকেশ কুমারের বলে। সাই হোপ বাউন্ডারি লাইনে সঞ্জুর ক্যাচ নেন। তৃতীয় আম্পায়ারের আউট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। হোপের পা ক্যাচ নেওয়ার সময় বাউন্ডারির সীমানা স্পর্শ করেছে কি না, তা নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়। হতাশ সঞ্জুকে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়। তাঁর আউটই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। সঞ্জু ফেরার পর কুলদীপ যাদব, মুকেশ কুমাররা ভাল বোলিং করে দিল্লির জয় নিশ্চিত করেন।
প্রথমে ব্যাট করে শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ছিলেন দিল্লির অস্ট্রেলীয় ওপেনার ম্যাকগার্ক। রাজস্থানের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন। মাত্র ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছন অস্ট্রেলীয় তরুণ। যদিও অশ্বিনের অভিজ্ঞতার কাছে হার মানেন ম্যাকগার্ক (২০ বলে ৫০)।
ম্যাকগার্ক আউট হলেও দিল্লির রানের গতি কমতে দেননি আর এক ওপেনার বাংলার অভিষেক পোড়েল। এদিন ওপেন করতে নেমে মাত্র ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন অভিষেক। তাঁকেও ফেরান অশ্বিন। ৩৬ বলে ঝোড়ো ৬৫ রান করেন বাংলার তরুণ। শেষ দিকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ট্রিস্টান স্টাবসের (২০ বলে ৪১)।