প্রতিবেদন : ঘটা করে রাজ্যে পর্যটক পাঠিয়ে বিজেপির দিল্লির নেতাদের ভাঁড়ারে শূন্য ডিভিডেন্ট জমা হল। দিনভর কয়েকটি বাড়িতে গেলেন। নবান্ন অভিযানের দিন যারা গাড়ি পুড়িয়েছে, এসিপিকে খুন করতে গিয়েছে এবং অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করেছে তারা গ্রেফতারের ভয়ে চুল-দাড়ি কামিয়ে ছদ্মবেশ ধরেছিল। বিজেপির কেন্দ্রের মহিলা ‘পর্যটক’ প্রকাশ্যেই বলছেন এসব নাকি শাসক দলের কাজ! মিথ্যাচার কোন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে তা রবিবার দেখল রাজনৈতিক মহল।
দিল্লির নেতাদের সঙ্গে গুটিকয়েক রাজ্যনেতাকে দেখা গিয়েছে। দেখা যায়নি দলের তথাকথিত গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের। সে-দেখে বেজায় চটেছেন দিল্লির গেরুয়া নেতারা। দলের বৈঠকে বলেছেন, আমাদের সামনেই দেখা যাচ্ছে, দিলীপ-সুকান্ত-শুভেন্দুর মধ্যে কোনও মিলমিশ নেই। আপনারা মানুষকে বোঝাবেন কী? দিল্লিতে গিয়ে সবটাই জানাব। এটা দল চলছে না চলছে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি? ডোন্ট টাচ মি-র বিতর্ক প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বিরোধী দলনেতাকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, আপনি প্রত্যেকবার বিতর্ক উত্থাপন করবেন আর দিল্লিকে রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগ করে সামাল দিতে হবে, এটা চলতে পারে না। আপনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সে নিয়ে আদালতে লড়াই করে নিষ্কলুষ হয়ে আসুন। এমনকী ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর খুন হওয়া প্রসঙ্গেও বিরোধী দলনেতাকে বলেছেন, আদালত সদয় না হলে তো আপনাকে শ্রীঘরে কাটাতে হত!
পুজো (Durga Puja- BJP) নিয়ে কার্যত দলীয় নেতাদের মধ্যে বৈঠকে মারামারি হওয়ার জোগাড়। একদল বলেছে ইজেডসিসিতেই নমো নমো করে পুজো হোক আর একদল বলেছে পুজোর দরকার নেই। পর্যটকরা অবাক, এমন নেতাদের তাঁরা পুষছেন যাঁরা নিজেদের এলাকায় কোনও পুজোর সঙ্গেই যুক্ত নন!
আরও পড়ুন-প্রথা মেনে এখনও প্রতীকী নরবলি
এরপরেই দলের এক কেন্দ্রীয় পর্যটক বলেন, বছর বছর আপনারা কেন হারছেন তার কারণ পরিষ্কার বোঝা গিয়েছে। পুজোর (Durga Puja- BJP) ঠিক নেই, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসবেন নাকি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি আসবেন সে নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছেন। সুনীল বনসল এবং মঙ্গল পাণ্ডে নামে দুই নেতার সামনেই অভিযোগ উঠেছে নিজের পেটোয়া লোকদের নিয়ে দল চালাচ্ছে সুকান্ত আর পরিষদীয় নেতা তো ৭০ জন বিধায়কদের মধ্যেই ৪টি গোষ্ঠী তৈরি করে ফেলেছেন। বিরোধী দলনেতাই পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চান। তা চাইতেই বনসল সরাসরি বলেন, ২০২১-এর বিধানসভায় দেওয়া হয়েছিল, আরও অনেক শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছিল। তারপরেও জিততে পারলেন না কেন? বিরোধী দলনেতা সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলতেই বনসল বলেন, ভিডিও ক্যামেরাতে তো দেখা যায়নি। তাহলে ব্যবস্থা নিত নির্বাচন কমিশন। দিল্লির এই সব মরশুমি পর্যটকরা মোদ্দা যে কথাটি বুঝে গিয়েছেন তা হল, এ শুধু বৃথা চেষ্টা দিবারাত্র ফুটা পাত্রে জল ঢেলে তৃষ্ণা মেটাবারে।
তৃণমূল বলল
* বিষয় দিল্লির নেতৃত্ব
** নিশ্চয়ই আপনারা সাইবেরিয়ার পাখির নাম শুনেছেন। ওরা বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে আসে আবার চলে যায়। এসেছিলেন সিদ্ধার্থনাথ সিং, চলে গিয়েছেন। এসেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, চলে গিয়েছেন। যাঁরা এসেছেন, তাঁরাও চলে যাবেন। পর্যটকদের নিয়ে এত ভাবনা কীসের! সমুদ্রের ধারে বালির ঘর। তৃণমূলের একটা কর্মসূচির ঢেউ উঠলেই সব ধুয়েমুছে সাফ।
* প্রসঙ্গ কেন্দ্রীয় বাহিনীতে ভোট
** তাহলে তো সংবিধান পাল্টাতে হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ত্রিপুরা-সহ অন্য রাজ্যে জেতার সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথা মনে আসেনি! হারার আগে কারণ তৈরি করছে।