হেডের তাণ্ডবে উড়ে গেল দিল্লি

শনিবার সেই নটরাজন মাত্র ১৯ রানে ৪ উইকেট দখল করে দিল্লির ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে চুরমার করে দিলেন। দিল্লিকে ৬৭ রানে হারাল সানরাইজার্স।

Must read

নয়াদিল্লি, ২০ এপ্রিল : ব্যাট হাতে কোটলার ২২ গজে তাণ্ডব করলেন ট্র্যাভিস হেড। মাত্র ৩২ বলে ১১টি চার ও ৬টি ছয় মেরে ৮৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে দিলেন বাঁ হাতি অস্ট্রেলীয় তারকা। চলতি আইপিএলে তৃতীয়বার স্কোরবোর্ডে আড়াইশোর বেশি রান তুলল সানরাইজার্স। আরেকজন টি নটরাজন। বছর দুয়েক আগেও টি-২০ ফরম্যাটে টিম ইন্ডিয়ার অটোমেটিক চয়েস ছিলেন বাঁ হাতি দক্ষিণী পেসার। কিন্তু লাগাতার চোট-আঘাতে সেই জায়গা হারিয়েছেন। শনিবার সেই নটরাজন মাত্র ১৯ রানে ৪ উইকেট দখল করে দিল্লির ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে চুরমার করে দিলেন। দিল্লিকে ৬৭ রানে হারাল সানরাইজার্স।

আরও পড়ুন-কন্যাশ্রী প্রকল্পই দিতে হবে, বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে চিঠি অভিভাবকদের

শুরু থেকেই খুনে মেজাজে ব্যাট করছিলেন হেড। মাত্র ১৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। চালিয়ে খেলেছেন হেডের সঙ্গী অভিষেক শর্মাও। মাত্র পাঁচ ওভারেই স্কোরবোর্ডে একশো রান তুলে ফেলেছিল সানরাইজার্স। যা আইপিএলের ইতিহাসে কোনও দলের দ্রুততম একশো রানের নতুন রেকর্ড। পাওয়ার প্লে-র পর সানরাইজার্সের রান ছিল বিনা উইকেটে ১২৫! আইপিএলের পাওয়ার প্লে-তে এতদিন সবথেকে বেশি রান তোলার রেকর্ড ছিল কেকেআরের দখলে। ২০১৭ সালে আরসিবির বিরুদ্ধে ক্রিস লিন ও সুনীল নারিন ৬ ওভারে ১০৫ রান তুলেছিলেন। যা এদিন ভেঙে দিলেন হেড-অভিষেক জুটি।
কিন্তু এর পরেই দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে সানরাইজার্স। প্রথম উইকেটে ১৩১ রান যোগ হওয়ার পর, ১২ বলে ৪৬ করে কুলদীপ যাদবের শিকার হন অভিষেক। ওই ওভারেই এইডেন মার্করামকে (১) আউট করেন কুলদীপ। কিছুক্ষণ পর হেডকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে সানরাইজার্সকে তৃতীয় ধাক্কা দেন কুলদীপ। হেডের অবদান ৩২ বলে ৮৯। পরের ওভারে ৮ বলে ১৫ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হন হেনরিখ ক্লাসেনও। ১০ ওভার শেষে সানরাইজার্সের রান ছিল ৪ উইকেটে ১৫৪। এরপর দলকে টানছিলেন নীতীশ রেড্ডি ও শাহবাজ আহমেদ। ২৭ বলে ৩৭ রান করে কুলদীপের চার নম্বর শিকার হন নীতীশ। শাহবাজ ২৯ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এই রান তাড়া করে জেতার জন্য অবিশ্বাস্য কিছু করতে হত দিল্লিকে। ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম চারটে বলে টানা বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পৃথ্বী শ। কিন্তু পঞ্চম বলেই আউট হয়ে যান। পরের ওভারেই আউট হন ডেভিড ওয়ার্নারও। ফলে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল দিল্লি। তবুও একটা মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন জেক ফ্রেজার ও অভিষেক পোড়েল। দু’জনের দাপটে পাওয়ার প্লে-তে ৮৮ রান তুলেছিল দিল্লি। কিন্তু ফ্রেজার ১৭ বলে ৬৫ ও অভিষেক ২২ বলে ৪২ করে আউট হতেই সব আশা শেষ। ঋষভ পন্থ ৩৫ বলে ৪৪ রান করলেও, তাতে শুধু হারের ব্যবধান কমেছে।

Latest article