সুইজারল্যান্ডের ‘আইকিউ এয়ার’ দ্বারা পরিমাপ করা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুসারে, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হল দিল্লি (Polluted Cities- Delhi)। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর। ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ওয়েবসাইট ভারতকে কাতারের পরে দ্বিতীয় দূষিত শহরের দেশ হিসাবে দেখিয়েছে। দিল্লিও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। যদিও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ট্যুইট করে দাবি করেছেন, দিল্লি এশিয়ার ১০টি দূষিত শহরের তালিকায় নেই, যেখানে ভারতের আটটি শহর রয়েছে। সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চের তথ্য অনুসারে, দিল্লির দূষণে খড় পোড়ানোর অংশ ২ থেকে ৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ১৫ শতাংশ কম। দূষণকারী পিএম ২.৫ এর মাত্রা বর্তমানে দক্ষিণ দিল্লির গ্রেটার কৈলাসে প্রতি মাইক্রোগ্রামে প্রায় ৪০০ মিমি, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) ৫ মাইক্রোগ্রামের (বার্ষিক গড়) নিরাপদ সীমার প্রায় ৮০ গুণ বেশি। সোমবার সকালে দিল্লির বাতাসের মান লক্ষণীয়ভাবে খারাপ হতে দেখা যায়। দীপাবলির বাজি ও খড় পোড়ানোর সাঁড়াশি আক্রমণে দূষণের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে যাচ্ছেন শিন্ডে ঘনিষ্ঠ ২২ বিধায়ক, দাবি সামনায়
সোমবার সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স পরিমাপ করে দেখা গিয়েছে ২৯৮। উল্লেখ্য, শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত কোয়ালিটি ইনডেক্স ভাল, ৫১ থেকে ১০০ সন্তোষজনক, ১০১ থেকে ২০০ মধ্যমমানের এবং ২০০ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে তা খারাপ হিসাবে বিবেচিত হয়। ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যেকার স্তরটিকে খুব খারাপ হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ৪০১ থেকে ৫০০-এর মধ্যেকার গুণমান গুরুতর হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তাপমাত্রা এবং বাতাসের গতি কমে যাওয়ায় রাতারাতি দূষণের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দিল্লির অনেক জায়গায় রবিবার রাতে মানুষ নির্বিচারে বাজি ফাটিয়েছে। অন্যদিকে খড় পোড়ানোর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৩১৮, যা এই মরশুমে সর্বোচ্চ।
দিল্লি (Polluted Cities- Delhi) ছাড়াও সংলগ্ন নয়ডা ও গাজিয়াবাদের বাতাসও এদিন ছিল ব্যাপকভাবে দূষিত। ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল সমগ্র দিল্লি-এনসিআর। শ্বাসকষ্ট, চোখে জ্বালাভাব অনুভব করেছেন অনেকেই। ইন্ডিয়া গেট, কর্তব্যপথ, লোধি রোড প্রভৃতি এলাকায় পুরু ধোঁয়াশার আস্তরণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। সব মিলিয়ে, বায়ুদূষণে ফের নাজেহাল দেশের রাজধানী।