হায়দরাবাদ, ২৪ এপ্রিল : সাধে কি নেভিল কার্ডাস স্কোরবোর্ডকে গাধা বলেছিলেন!
স্কোরবুক বলছে, তিন ওভার হাত ঘুরিয়ে রান দিয়েছেন ২৭। উইকেটের কলাম শূন্য। কিন্তু মুকেশ কুমারই দিল্লি ক্যাপিটালসের জয়ের নায়ক!শেষ ওভারে জেতার জন্য সানরাইজার্স হায়দরাবাদের চাই ১৩ রান। যা টি-২০ ফরম্যাটে টার্গেট হিসেবে নেহাতই নগণ্য। ওই পরিস্থিতিতে ডেভিড ওয়ার্নার যখন মুকেশের হাতে বল তুলে দিলেন, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন ম্যাচ শেষ। কিন্তু মাত্র পাঁচ রান দিলেন মুকেশ। দিল্লি ম্যাচ জিতে নিল ৭ রানে। বাংলার মুকেশের মুখে তখন তৃপ্তির হাসি।
আরও পড়ুন-প্রবল তাপপ্রবাহে ইউরোপে মৃত্যুর রেকর্ড গড়েছে ২০২২, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
তবে শুধু মুকেশ একা নন। মাত্র ১৪৫ রানের পুঁজি নিয়ে দুর্দান্ত বোলিং করলেন অক্ষর প্যাটেল, অনরিখ নরখিয়া, কুলদীপ যাদব, ইশান্ত শর্মারা। অন্যদিকে, চাপের মুখে ফের ভেঙে পড়ল হায়দরাবাদের ব্যাটিং। টপ অর্ডারের ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র রান পেলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল (৪৯)। শেষ দিকে, হেনরিখ ক্লাসেন (১৯ বলে ৩১) এবং ওয়াশিংটন সুন্দর (১৫ বলে অপরাজিত ২৪) মরিয়া চেষ্টা করেও জয় এনে দিতে পারেননি।
ম্যাচটা এক অর্থে ওয়ার্নারের কাছে ছিল জবাব দেওয়ার মঞ্চ। যে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন, সেই দলই তাঁকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল ব্যর্থ তকমা দিয়ে। তারপর থেকেই হায়দরাবাদের মুখোমুখি হলে বাড়তি তাগিদ অনুভব করেন বাঁ হাতি অস্ট্রেলীয় ওপেনার। ব্যাট হাতে নিজে ব্যর্থ হলেও দল জিতেছে। ম্যাচের পর ওয়ার্নারের উল্লাস দেখে মনে হয়েছে যেন যুদ্ধ জয় করেছেন। এদিন ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন ফিল সল্ট। কিন্তু ইনিংসের প্রথম ওভারেই ভুবনেশ্বর কুমারের শিকার হয়ে তিনি শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চালাচ্ছিলেন মিচেল মার্শ। কিন্তু ১৫ বলে ২৫ রান করে তিনিও আউট হয়ে যান।
আরও পড়ুন-সুদানে বেড়েই চলেছে মৃত্যু মিছিল, ভুগছে প্রবল খাদ্য সংকটে, শুরু অপারেশন কাবেরী
ওয়ার্নারও ব্যর্থ। ২০ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে যান। ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে বাউন্ডারি লাইনে তাঁর ক্যাচ লুফে নেন হ্যারি ব্রুক। ওই ওভারেই আউট হন সরফরাজ খান (১০) ও আমন খান (১)। ফলে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৬২ রান তুলতে না তুলতেই ৫ উইকেট খুইয়ে বসেছিল দিল্লি। যদিও এই বিপর্যয়ের মুখে কিছুটা লড়াই করেন অক্ষর প্যাটেল ও মণীশ পাণ্ডে। ষষ্ঠ উইকেটে দু’জনে মিলে যোগ করেন মূল্যবান ৬৯ রান। অক্ষর ৩৪ বলে ৩৪ রান করে আউট হন। মণীশের অবদান ২৭ বলে ৩৪। হায়দরাবাদের বোলারদের মধ্যে ২৮ রানে ৩ উইকেট পান ওয়াশিংটন। ১১ রানে ২ উইকেট ভুবনেশ্বরের।