প্রতিবেদন : রাজ্যপালের তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোসের তুঘলকি সিদ্ধান্তে না করেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তাই আবার নিজের পুরনো খেলায় ফিরে গেলেন তিনি। সরিয়ে দিলেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। নিজের খামখেয়ালিপনার শিকার বানালেন নিজেরই নিয়োগ করা উপাচার্যকে। তাঁর কথা না মেনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সম্মতি জানিয়েছিলেন তিনি। আর সেই রোষানলেই পড়তে হল তাঁকে। এই ঘটনায় ধিক্কার জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এর ফলে গোটা উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট হচ্ছে বলেই মত তাঁর। অপরদিকে এডুকেশন ফোরামের সদস্য তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওম প্রকাশ মিশ্র এই ঘটনাকে অনৈতিক ও বেআইনি বলেই জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-যানজট এড়াতে নয়া উড়ালপুল বাইপাসে, ১ হাজার কোটিতে ৬ কিমি দীর্ঘ ফ্লাইওভার
সমাবর্তনে রাজ্যপাল আগেই যাবেন না বলেই জানা গিয়েছিল।আমন্ত্রণ পত্র গিয়েছিল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছেও। তিনি উপস্থিত থাকবেন বলেই জানা গেছে। সমাবর্তন না করার ‘ফতোয়া’কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যে অনুষ্ঠান হচ্ছিল সেই বিষয়টিকেও স্বাগত জানিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে এরপরেই রাজ্যপালের এই তুঘলকি সিদ্ধান্তকে তীব্র নিন্দা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, দেখা যাচ্ছে যে তিনি রাজ্যের উচ্চশিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে উদ্যত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন রায়কে অসম্মান করছেন তিনি।
প্রতি বছর ২৪ ডিসেম্বরই সমাবর্তন হয় যাদবপুরে। কিন্তু এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বৈঠকে অনুমতি দেননি রাজ্যপাল। সেই নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। তারপরেও নির্ধারিত দিনেই হচ্ছে কিন্তু হঠাৎ করেই উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ায় তৈরি হল আরও জটিলতা।