নয়াদিল্লি : প্রয়াগরাজে রবিবার উত্তরপ্রদেশ সরকার বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় রাজনৈতিক কর্মী মহম্মদ জাভেদের বাড়ি৷ পয়গম্বর ইস্যুতে বিজেপি নেতা-নেত্রীর কদর্য মন্তব্যের প্রতিবাদে সংঘর্ষে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাভেদের বিরুদ্ধে৷ কিন্তু তার প্রতিক্রিয়ায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া কতটা আইনসম্মত, তা নিয়ে সর্বস্তরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
আরও পড়ুন-বিনা অনুমতিতে পিতৃগৃহে যাওয়া অপরাধ নয় : এলাহাবাদ হাইকোর্ট
বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, কোনও আইনকানুনের তোয়াক্কা করে না বিজেপি প্রশাসন৷ নিজেরাই প্ররোচনা তৈরির পরিস্থিতি তৈরি করে এবং তার প্রতিক্রিয়ায় উত্তেজনা তৈরি হলে তা প্রশমনের চেষ্টা না করে উল্টে বিভেদের রাজনীতিকেই আরও ছড়িয়ে দেওয়া হয়৷ যোগীরাজ্যের বুলডোজার রাজনীতি সেই ধারারই অনুসারী৷ প্রসঙ্গত, বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙা বা সম্পত্তি ধ্বংসের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট, এলাহাবাদ হাইকোর্ট ও মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন৷ বিজেপি সরকারগুলি তথাকথিত আইনলঙ্ঘনের অজুহাতে বুলডোজার চালিয়ে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ৷ বিশেষত এসব ক্ষেত্রে ‘টার্গেট’ করা হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনকে৷
আরও পড়ুন-শেয়ার বাজারে বড় ধস
রবিবার প্রয়াগরাজ কাণ্ডের প্ররিপ্রেক্ষিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, এই কাজ সম্পূর্ণ অবৈধ৷ যদিও ধরেও নেওয়া যায় নির্মাণটি বেআইনি ছিল, তাহলেও বাসিন্দারা থাকাকালীন কোনও বাড়ি ভেঙে ফেলা সঠিক পদক্ষেপ নয়৷ এটি কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যা নয়৷ বরং আইনের শাসনের প্রশ্ন৷ অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙা প্রসঙ্গে আরও যুক্তি, কোনও ব্যক্তি অপরাধ করলেও সেজন্য তার বাড়ি বা পরিবারের সদস্যরা শাস্তি পেতে পারেন না৷ ভারতীয় আইনব্যবস্থা কোনও অভিযুক্তর ক্রিয়াকলাপের জন্য তার পরিবারকে শাস্তিদান অনুমোদন করে না, এটি বেআইনি৷