প্রতিবেদন : মোদি সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপ ভাঁওতাবাজি ছাড়া কিছু নয় (bjp hatao)। ইলেক্টোরাল বন্ড সবচেয়ে বড় স্ক্যাম। শনিবার এমনটাই দাবি দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের। শনিবার এয়ারপোর্ট ১নং গেট বাস স্টপেজে (ভিআইপি রোড ও যশোর রোডের সংযোগস্থলে) এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়, নচিকেতা চক্রবর্তী, দেবজ্যোতি বোস, শোভনসুন্দর বসু , সুদেষ্ণা রায়, দোলা সেন, পূর্ণেন্দু বসু-সহ বিশিষ্টরা। ২০২১ সালে শত চেষ্টা সত্ত্বেও বাংলার মুখে হাসি ফুটেছিল। এবারের নির্বাচনেও বাংলা জয়ী হবে। পরিবর্তনের আন্দোলনে যাঁরা সঙ্গী হয়েছিলেন, ফের সময়ের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ পথে নেমেছে।
আরও পড়ুন- কাল থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু মুখ্যমন্ত্রীর
শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সুদেষ্ণা রায় বলেন, আমরা চাই মহিলাদের সুরক্ষা। আমরা চাই উন্নয়ন, ভাঁওতাবাজি নয়। অথচ মোদি সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপ ভাঁওতাবাজি ছাড়া কিছু নয়। ইলেক্টোরাল বন্ড সবচেয়ে বড় স্ক্যাম। আমরা চাই মানুষের পাশে থাকতে। মোদিকে হটাতে আমরা পথে নেমেছি। মানুষকে বুঝতে হবে কোন সরকার তাদের পাশে আছে। সেই বার্তাটাই মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।
তৃণমূল নেত্রী দোলা সেন বলেন, রাজ্যের প্রাপ্য টাকা মোদি সরকার আটকে রেখেছে। গরিব মানুষ কাজ করেও টাকা পাচ্ছে না। অথচ প্রতিশ্রুতির বন্যা। রাজ্য সরকার সেই টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এখন আবার ইডির বাজেয়াপ্ত টাকা ফেরত দেওয়ার ভাঁওতাবাজি (bjp hatao)। এর বিরুদ্ধে মানুষকে একজোট হতে হবে।
বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার গরিব সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ। সাংবাদিক-সহ সাধারণ মানুষ ও বিরোধী দলের সকলকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ভয় দেখিয়ে ২০২৪-এর নির্বাচনের আগে মুখ বন্ধ রাখতে চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার হয়েছি।
বর্ষীয়ান সঙ্গীত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা এই বাংলায় জন্মেছি, এই বাংলাকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। মোদি সরকার বাংলার প্রতি যে বঞ্চনা দেখাচ্ছে, যেভাবে প্রতিপদে বাংলাকে অপমান করছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। তাই মানুষকে একজোট হতে হবে। এদিন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট মানুষজন মিলে ১৫ দিনের জন্য বাংলার সব ক’টি কেন্দ্রে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ প্রচার চালাবে।