বিমানের টিকিট (Flight ticket) কাটার সময় বাধ্যতামূলক ভাবে বেশ কিছু পরিষেবার জন্যে টাকা দিতে হয় যাত্রীদের। এর মধ্যে বেশ কিছু পরিষেবা যাত্রীদের জন্য একেবারেই অপ্রয়োজন। তবু সেই সব পরিষেবাগুলির জন্যে টাকা গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। এবার থেকে উড়ান সংস্থাগুলিকে টিকিট কাটার ক্ষেত্রে ‘অপ্ট ইন’ পদ্ধতিতে ভাড়া নিতে হবে । এরপর থেকে যাত্রীরা যে পরিষেবা পেতে চান, টিকিটের সঙ্গে সেটার দাম দিলেই হয়ে যাবে। এই মুহূর্তে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ‘অপ্ট আউট’ পদ্ধতিতে বিমানের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। প্রয়য়োজন না থাকলেও সব পরিষেবার জন্যেই টাকা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন-দার্জিলিঙে দিল্লির পর্যটক বোঝাই গাড়িতে ধাক্কা টয় ট্রেনের
ডিজিসিএ এই অবস্থায় নির্দেশ দিয়েছে এই ৭টি ক্ষেত্রের ভাড়া টিকিট থেকে আলাদা রাখতে হবে – খাবার, পছন্দের আসন, এয়ারলাইন্স লাউঞ্জের ভাড়া, চেক-ইন ব্যাগেজ ফি, বাদ্যযন্ত্রের চার্জ, খেলাধুলোর সামগ্রীর চার্জ, ব্যাগে মূল্যবান জিনিস থাকার চার্জ। স্বাভাবিকভাবেই বিমানের বেস ফেয়ার অনেকটাই কমে যাবে। ডিজিসিএ জানায়, ‘উড়ান সংস্থাগুলি কিছু পরিষেবা দেওয়ার নাম করে টিকিট কাটার সময় টাকা নেয় যাত্রীদের থেকে। যাত্রীদের থেকে পাওয়া ফিডব্যাক অনুযায়ী এই পরিষেবাগুলির প্রয়োজনীয়তা নেই বলে বোঝা যাচ্ছে। ফলে সেগুলিকে টিকিটের দাম থেকে পৃথক করা হয়েছে।’ যাত্রীকে সব তথ্য স্পষ্টভাবে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। নতুন এই নিয়মে যেকোন রকম বিভ্রান্তি দূর করার দায়িত্ব উড়ান সংস্থার ওপরে বর্তায়। কোন খাতে কত টাকা নেওয়া হচ্ছে, উড়ান সংস্থাকে টিকিটের উপর স্পষ্ট করে লিখে দিতে হবে।