দেশ-বিদেশের শিল্পপতিদের উপস্থিতিতে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন(BGBS)। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বক্তব্য দিয়ে আজকের এই সম্মেলনের শুরু হয়। কিন্তু আজ তাকে দেখা গেল অন্য রূপে তিনি। রাজ্যপালের গলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা শোনা যায়। শিল্পপতিদের উদ্দেশে এদিন রাজ্যপাল বলেন, বাংলা জ্ঞানের পীঠস্থান।
আরও পড়ুন-‘নিশ্চিন্তে ব্যবসা করুন’, শিল্পপতিদের আহ্বান জানালেন মমতা
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাজ্য সরকারের ঢালাও প্রশংসা করে রাজ্যপাল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ আরও উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে। আশা করি এই বাণিজ্য সম্মেলন আগামিদিনে রাজ্যকে আরও উন্নয়নের পথ দেখাবে। মোদিজীর লুক ইস্ট নীতি মেনে এগিয়ে যাবে বাংলা।” শুধু তাই নয় সকলকে বাংলায় বিনিয়োগের আবেদন জানিয়ে রাজ্যপাল আরও বলেন, “দেশের অর্থনৈতিক ছবিটা বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে বাংলার। বাংলায় বিনিয়োগ করলে শিল্পপতিরা লাভবান হবেন। পশ্চিমবঙ্গ বিনিয়োগের জন্য আদর্শ কারণ এখানকার জল-মাটি-পরিস্থিতি অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ইতিবাচক। পশ্চিমবঙ্গের ভৌগলিক অবস্থান, জলবায়ু, মানব সম্পদ, ঐতিহ্য- আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত।” নিজের ব্যাখ্যায় রাজ্যপাল আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর, বন্যপ্রাণ এবং প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য এই জায়গায় অত্যন্ত বিখ্যাত ও আকর্ষণীয়।” শুধু তাই নয়, বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির কথা তুলে ধরে ধনকড় আরও জানান, “বাংলা বুদ্ধি ও শিক্ষার পীঠস্থান। বাংলার সংস্কৃতির কথা সকলের জানা। মহাপুরুষদের জন্ম হয়েছে বাংলায় গতবছর কলকাতার দুর্গোপুজো হেরিটেজ তালিকায় প্রবেশ করেছে।”
উল্লেখ্য, করোনার জেরে ২ বছর বন্ধ থাকার পর বুধবার নিউটাউনে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। রাজ্যে শিল্পের জোয়ার আনতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাখির চোখ এই সম্মেলন। এদিনের এই সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। উপস্থিত রয়েছেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি, হীরানন্দানি, জিন্দল, চ্যার্টার্জি গোষ্ঠীর কর্ণধররা। এছাড়াও আমেরিকা, দক্ষিন কোরিয়া, চিন, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, জাপান সহ ১৪ টি দেশের প্রতিনিধি দল উপস্থিত রয়েছে এই সম্মেলনে।