প্রতিবেদন : কথা দিলে কথা রাখে তৃণমূল কংগ্রেস। কথা রাখে বলেই আমরা মা-মাটি-মানুষের সরকার। ধূপগুড়ি মহকুমা (Dhupguri Sub-Division) হবেই, কথা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দেওয়ার পর মা-মাটি-মানুষের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা নিশ্চিত করেছিলেন ১২ অক্টোবর। তারপর সমস্ত জট কাটিয়ে ধূপগুড়ি উন্নীত হল মহকুমায়। প্রতিশ্রুতিপূরণের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে বার্তা দিলেন ধূপগুড়িবাসীর প্রতি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে বলেন, আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ধূপগুড়িবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি অবশেষে পূরণ হল। মা-মাটি-মানুষের সরকার ধূপগুড়িকে মহকুমা হিসেবে উন্নীত করল। উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই, ধূপগুড়িকে মহকুমা (Dhupguri Sub-Division) হিসেবে উন্নীত করার উদ্যোগ শুরু হয়। ১২ অক্টোবর আমি বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলাম পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। প্রস্তাবটি পাশ হয়েছিল। ধূপগুড়ি আজ আনুষ্ঠানিকভাবে মহকুমা হিসেবে মর্যাদা পেল। এই মাইলস্টোন স্থানীয় বাসিন্দাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, আইনি সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাসমূহকে উন্নত করবে। সৃষ্টি হবে নতুন সুযোগ। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবা পাওয়া সহজতর হবে।
আরও পড়ুন- ৬ ফেব্রুয়ারি চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচন
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, কথা দিয়ে কথা রাখার নামই হল তৃণমূল। ২ সেপ্টেম্বর আমি ধূপগুড়িকে মহকুমা করার অঙ্গীকার করেছিলাম। আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে, তা জানাতে পেরে আমি সম্মানিত। একইসঙ্গে মহকুমা হিসেবে উন্নীত হওয়ায় ধূপগুড়িবাসীর আনন্দ প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, মাইলের পর মাইল দূরে হলেও আজ চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাচ্ছি আনন্দে উদ্বেলিত মুখগুলি! ধূপগুড়িবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার উদ্যোগী হলেও দু-একটি ক্ষেত্রে আইনি জটিলতায় সিদ্ধান্ত ঝুলেছিল৷ জট ছাড়াতে উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে ফোন করেন৷ ফাইল পাশ করার আর্জি জানান। জানান, কয়েক লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন৷ এরপরই প্রধান বিচারপতি তা পাশ করে দেন। ধূপগুড়ি পায় মহকুমার মর্যাদা।