বাসুদেব ভট্টাচার্য, জলপাইগুড়ি : চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ধূপগুড়ি মহকুমা হবে। ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনের জনসভায় এসে এই ঘোষণা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয় ধূপগুড়ি হাসপাতালকে খোলনলচে পরিবর্তন করা হবে। উচ্চমানের চিকিৎসাসামগ্রী, অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিসেবা-সহ পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স নিযুক্ত করা হবে ধূপগুড়ি হাসপাতালে।
আরও পড়ুন-আত্মহত্যার প্ররোচনা, ধৃত প্রধান শিক্ষক
তবে তার জন্য ধূপগুড়িকে মহকুমায় উন্নীত করতে হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ধূপগুড়িকে মহকুমা করার দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। ধূপগুড়ির নির্বাচনী সভায় এসে মঞ্চ থেকে এই ঘোষণা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মহকুমা হলেই স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি হবে। ধূপগুড়ি হাসপাতাল মহকুমা হাসপাতালে উন্নীত হবে। এলাকার মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। আগে ভাল চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার জন্য এই এলাকার লোকজনকে জলপাইগুড়ি ছুটতে হত। ধূপগুড়িতে মহকুমা হাসপাতাল হয়ে গেলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই এখানকার স্বাস্থ্য পরিষেবা ভাল হবে। তাদের আর বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছুটতে হবে না। আর মহকুম ঘোষণা হলেই এই হাসপাতাল মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত হবে। পাশাপাশি এদিন তিনি সভায় উপস্থিত সকল কর্মী-নেতার থেকে কথা নেন তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়কে ভোট দিয়ে জেতানোর জন্য।এদিন তিনি সভাস্থলে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই করতালি এবং জয় বাংলা স্লোগান তুলতে শুরু করেন। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাকে কেন্দ্র করে প্রচুর মানুষ জনসভায় ভিড় করেছিলেন। এ যেন শুধু তাঁকে দেখতেই আসা, তাঁর কথা শোনার জন্য অধীর আগ্রহে তীব্র অপেক্ষা করা।
আরও পড়ুন-তুঘলকি পদক্ষেপ রাজ্যপালের, ক্ষুব্ধ রাজ্য
সভাস্থলে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই হাততালিতে ফেটে পড়ে গোটা সভাস্থল। এদিন এই সভায় মহিলা এবং যুবক-যুবতীদের ভিড় ছিল নজরকাড়ার মতো। প্রায় ৪৫ মিনিটের বক্তৃতা দেন তিনি, তাঁর কথা শুনে সকলেই বেশ মুগ্ধ, কারণ এই এলাকার বাসিন্দাদের মূল দাবি পূরণ করার কথা দিয়েছেন তিনি।