প্রতিবেদন : কথায় আছে, লজ্জা-ঘেন্না-ভয়, তিন থাকতে নয়। কথাটা অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে কেন্দ্রের মোদি সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপে। পেট্রোলের পরে এবারে জেলায় জেলায় ডিজেলের দাম সেঞ্চুরি ছাড়াল। পেট্রোলের দাম অবশ্য অনেক আগেই সেঞ্চুরি পার করে অনেকটাই পেছনে ফেলে দিয়েছে ডিজেলকে। এবারে ডিজেলের দামবৃদ্ধির নিরিখে কলকাতাকে পেছনে ফেলে দিয়েছে জেলা।
আরও পড়ুন-নিউটাউনে পঞ্চবটি-পোষণ পার্ক
পুরুলিয়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার— সব জায়গাতেই মঙ্গলবার ডিজেলের দাম লিটারে ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘােষ মঙ্গলবার বলেন, ছয় জেলার মানুষ বিপর্যস্ত। কেন্দ্রের জন্যই এই মূল্যবৃদ্ধি। আর বিজেপি এ নিয়ে কোনও মুখ খুলছে না। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর সমস্যার মুখোমুখি দার্জিলিংও। কলকাতাতেও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত। সোমবারের পরে মঙ্গলবার শহরে পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৪ টাকা ২৮ পয়সা। ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৯৯ টাকা ০২ পয়সা। মঙ্গলবার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বেড়েছে লিটারে ৮০ পয়সা। এই নিয়ে ১৪ দিনে ১৩ বার বাড়ল জ্বালানির দাম।
আরও পড়ুন-গ্রামে আরও আধুনিক পরিষেবা দেবে পঞ্চায়েত
অত্যন্ত আশঙ্কার বিষয় হল, জেলায় ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির এমন বেপরোয়া গতি শুধু পরিবহণেরই নাভিশ্বাস ওঠার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে না, কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে গ্রাম বাংলার কৃষি ব্যবস্থাকেও। কারণ ট্রাক্টর, সাব মার্সিবল পাম্প-সহ আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি মূলত দাঁড়িয়ে আছে ডিজেলের ভরসাতেই। ডিজেলের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ার সমূহ সম্ভাবনা কৃষিপণ্যের দামে। স্বাভাবিকভাবেই দুর্ভোগের আশঙ্কা জনজীবনে। সঙ্গত কারণেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সকলেই আঙুল তুলেছেন কেন্দ্রের অপদার্থতার দিকে। তাঁরা মনে করছেন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি আসলে কেন্দ্রের পূর্বপরিকল্পিত।