নিউটাউনে পঞ্চবটি-পোষণ পার্ক

সৃষ্টির সময় থেকেই গাছপালা, ফুলফল, শিকড় ব্যবহার করেই নানা রোগের চিকিৎসা হত। পরবর্তীকালে ক্রমশ জনপ্রিয়তা পায় আয়ুর্বেদ।

Must read

প্রতিবেদন : মানব সভ্যতা সৃষ্টির সময় থেকেই গাছপালা, ফুলফল, শিকড় ব্যবহার করেই নানা রোগের চিকিৎসা হত। পরবর্তীকালে ক্রমশ জনপ্রিয়তা পায় আয়ুর্বেদ। বর্তমানে অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি ও অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থাও  অনেকটাই নির্ভর করে এই গাছগাছালির উপর। তাই ভেষজ  চিকিৎসার উপর মানুষের আগ্রহ বাড়াতে এবং  অপুষ্টিজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধদের পুষ্টির জোগান আনতে কলকাতার রাজারহাট নিউটাউনে গড়ে উঠেছে পোষণ পার্ক নামে ভেষজ  গার্ডেন ও পঞ্চবটি বন।

আরও পড়ুন-গ্রামে আরও আধুনিক পরিষেবা দেবে পঞ্চায়েত

বিশ্ব বন সৃজন দিবসের প্রাক্কালে, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘নিউটাউন কলকাতা কেয়ার ফাউন্ডেশন’ ও নিউটাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটির উদ্যোগে  ‘অ্যাডাপ্টেশন অফ গ্রিন ভার্জ’ প্রকল্পের অন্তর্গত দুটি গ্রিন ভার্জ বা আয়ুর্বেদিক গার্ডেনের উদ্বোধন করেন নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান এবং হিডকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস সেন। তিনি বলেন, নিউটাউনে এ ধরনের উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও অভিনব। নিউটাউন কলকাতা কেয়ার ফাউন্ডেশনের পক্ষে অচিন্ত্য মিত্র বলেন, অ্যাকশন এরিয়া ২ বি তে ১০ নম্বর গ্রিন ভার্জের পোশাকি নামকরণ করা হয়েছে ‘পোষণ পার্ক’। এখানে ২.৫৬ একর জায়গার উপর মোট ১৪৫০টি ২৭ ধরনের ফলের গাছ লাগানো হয়েছে।

আরও পড়ুন-শান্তিপ্রসাদকে জেরা

তারমধ্যে ৫০০টি বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছ, ২০০টি পেয়ারা গাছ, ১০০টি লেবু গাছ, ১৫০টি নারিকেল গাছ, ৫০টি কাঁঠাল গাছ, ৫০টি পেঁপে গাছ এবং আতা, তেঁতুল, লিচু, কামরাঙা, কলা, করমচা, বিলাতি আমড়া, কাজু, ডালিম, গাব, কুল, জাম, জামরুল, আঁশ ফল রয়েছে।  অ্যাকশন এরিয়া ২ বি- র আরও একটি গ্রিন ভার্জ -৭ নম্বর এ পঞ্চবটী বন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এনকেসিএফ-এর উদ্যোগে। এখানে বিভিন্ন ভেষজ বৃক্ষ যেমন- হরীতকী, নিম, বেল, তেজপাতা, বাসক, নারকেল, দারুচিনি, কাবাবচিনি, রিঠা, অর্জুন, ছাতিম, বহেড়া, হিং, কর্পূর, ইত্যাদি প্রায় ৫০টি প্রজাতির সমন্নয় এ আমাদের দেশীয় উদ্ভিদের পরিচিতি এবং এদের উপকারিতা উল্লেখ করা হবে। প্রায় ১.৩৩ একর এএনকেডিএ-এর জমিতে বট, অশ্বত্থ, অশোক, আমলকি ও বেল ইত্যাদি সহ মোট ১০০০ গাছের সমারোহে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে। এই দুটি গ্রিন ভার্জ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে উৎসাহের শেষ নেই।

Latest article