সংবাদদাতা, দিঘা : নতুন বছর সবে পড়েছে। ছোটদের স্কুল বন্ধ। শীতের এই মরশুমে দিঘায় ভিড় উপচে পড়ার কথা। কিন্তু পর্যটন কেন্দ্র দিঘায় এই মুহূর্তে একেবারে উল্টো চিত্র। সৌজন্যে করোনাভাইরাস। সংক্রমণ রুখতে প্রশাসন, পুলিশ ও দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ সোমবার সকাল থেকেই তৎপর। পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন স্নানের ঘাট দড়ি দিয়ে এবং গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা সৈকতে খাওয়া বা ঘোরাফেরা করতেও পারবেন না।
আরও পড়ুন-করোনা কবলে মন্ত্রী বীরবাহা
পর্যটকদের করণীয় সম্পর্কে সচেতন করতে পুলিশ মাইকিং করছে। দিঘার বিশ্ব বাংলার পার্ক, অমরাবতী পার্কের মতো সুসজ্জিত প্রমোদ উদ্যানগুলোও বন্ধ। ফলে ওল্ড এবং নিউ দিঘার সৈকত ও নববর্ষের জন্য সেজে ওঠা পার্কগুলো জনশূন্য। পিকনিক স্পটের ঝাউজঙ্গলে রান্নাবান্না ও হই-হুল্লোড়ের পরিচিত ছবিও অদৃশ্য। দিঘার রেস্তোরাঁ ও হোটেলগুলো এখনই বন্ধ রাখার বিষয়ে নির্দেশ জারি না হলেও পর্যটকদের বাইরে বেরোনো ও রেস্তোরাঁতে খাওয়ার ব্যাপারে আপাতত শর্ত আরোপ করা হচ্ছে।
বেড়াতে গিয়ে ঘোরাঘুরি করতে না পেরে হতাশ হয়ে বহু পর্যটক রবিবারই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। দিঘার ৭০ শতাংশ এখন ফাঁকা। করোনা বিধি ভাঙায় রবিবার ও সোমবার বেশ কয়েকজন পর্যটকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। দিঘার মতোই উপকূলের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র শংকরপুর, মন্দারমণি ও তাজপুরের চিত্রটাও একই।