প্রতিবেদন : ২০২৩-এর পদ্ম পুরস্কার পেলেন চার কৃতী বাঙালি। ওআরএস-এর জনক দিলীপ মহলানবিশ (Dilip Mahalanabis- Padma Vibhushan) পেয়েছেন মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ। একইসঙ্গে মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ পেয়েছেন সদ্যপ্রয়াত মুলায়ম সিং যাদব। এই তালিকায় রয়েছেন তবলাবাদক জাকির হোসেন। পদ্মভূষণ পেয়েছেন শিল্পপতি কেএম বিড়লা, ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা সুধা মূর্তি, শিল্পী সুমন কল্যাণপুর। সাহিত্য, শিক্ষা ও কলায় অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য পদ্মশ্রী পেয়েছেন বাংলার ধনীরাম টোটো, প্রীতিকণা গোস্বামী, মঙ্গলাকান্তি রায়। এবছর সব মিলিয়ে পদ্মবিভূষণ পেয়েছেন ৬ জন, পদ্মভূষণ পেয়েছেন ৯ জন এবং পদ্মশ্রী পেয়েছেন ৯১ জন। তবে বাংলার ৪ কৃতী সন্তানও পদ্ম পুরস্কার পাওয়ায় বিশ্ব দরবারে আবারও বাংলার জয়জয়কার। সাহিত্য, শিক্ষা এবং কলায় বরাবরই দেশে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছেন বাংলার কৃতী সন্তানরা। তবে এবারে ওআরএস-এর জনক দিলীপ মহলানবিশ (Dilip Mahalanabis- Padma Vibhushan) মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ পাওয়ায় বাংলা ও বাঙালির গর্ব দ্বিগুণ হয়েছে। টোটো ভাষা সংরক্ষণের জন্য জলপাইগুড়ির ধনীরাম টোটোকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। বিশেষ বাদ্যযন্ত্র সারিন্ডা সংরক্ষণের জন্য ১০২ বছরের পল্লিগীতি শিল্পী জলপাইগুড়ির মঙ্গলকান্তি রায়কে পুরস্কৃত করা হয়েছে। গত ৮ দশক ধরে এই বিষয়ের উপরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন শতায়ু অতিক্রম করা এই শিল্পী। তবে পদ্ম পুরস্কারের তালিকায় চমক বলি অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন। নয়ের দশকের শুরু থেকে দীর্ঘদিন দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছেন এই অভিনেত্রী। ভারতীয় রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র ছিলেন মুলায়ম সিং যাদব। উত্তরপ্রদেশের রাজনীতির ‘নেতাজি’ বলা হতো তাঁকে। তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এবং এক সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নামও উঠে এসেছিল। বর্ণময় এই রাজনীতিবিদের প্রয়াণের সঙ্গেই শেষ হয়েছে ভারতীয় রাজনীতির একটি অধ্যায়। তিনি মকনোত্তর পদ্মবিভূষণ সম্মানে সম্মানিত হওয়ায় খুশি রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন-প্রতিহিংসার রাজনীতি, ইডির হাতে ধৃত সাকেত
পুলিশ পদক রাজ্যের ২২ : সাধারণতন্ত্র দিবসে দেশে ৯০০ জন এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২২ জন রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক সম্মান পেতে চলেছেন। প্রাপকেরা হলেন, জাভেদ শামিম, শিবপ্রসাদ মুখার্জি, সুশান্ত ধর(কলকাতা পুলিশ), সঞ্জিত কুমার সানি (এসআই, ডাইরেক্টর অব সিকিউরিটি, আলিপুর), শান্তনু কুমার তরফদার (অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, কলকাতা পুলিশ), দীপঙ্কর দাস (অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, কলকাতা পুলিশ), সুব্রত দে (এসটিএফ, কলকাতা পুলিশ), চন্দন দাস (ইন্সপেক্টর, ব্রিগেড হেড কোয়ার্টার), অরূপ ব্যানার্জি (ইন্সপেক্টর, সাউথ ডিভিশন, কলকাতা পুলিশ), তরুণ হাজরা (মালদহ জেলা পুলিশ) কবিতা দাস (ইন্সপেক্টর, সালুয়া) অমর ফারুক (মালদহ জেলা পুলিশ), অরুপ কুমার পট্টনায়ক (সাবইন্সপেক্টর, ইন্টিলিজ্যান্স ব্রাঞ্চ), মিলন মোঠে (এএসআই, জেলা সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী, দার্জিলিং) নিহার রঞ্জন ভৌমিক (এএসআই, মালদা পুলিশ), শান্তুনু দাস (এএসআই, ডাইরেক্টর অব সিকিউরিটি), অভিজিত্ বিশ্বাস (কন্সটেবল, বারুইপুর পুলিশ), প্রভাকর দাস (কন্সটেবল), শ্যাম কুমার থাপা (ইস্টার্ন, ফ্রন্টিয়ার্স রাইফেল, সালুয়া ), বিদ্যুত্ দাস (এসআই, কলকাতা পুলিশ হাওড়া অ্যাকাডেমি)। এদের মধ্যে জাভেদ শামিম এবংশিবপ্রসাদ মুখার্জি পাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট মেডেল। বাকিরা পাচ্ছেন পুলিশ মেডেল।