সংবাদদাতা, দিনহাটা: নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসার। আকাশের দিকে তাকিয়ে দুটি বিবর্ণ চোখ স্বপ্ন দেখত। পেটে খিদে, পাঁচ ভাই বোনের দায়িত্ব, বাবার স্বল্প রোজগারের মাঝেও স্বপ্নের ছায়াপথের সন্ধান করত ছেলেটি। অদম্য ইচ্ছাশক্তি আজ তাঁর স্বপ্ন পূরণ করেছে। প্রায় ৯৩০ কোটি আলোকবর্ষ দূরের এক গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের সন্ধান দিয়ে বিশ্বের দরবারে নাম পৌঁছেছে দিনহাটার ডঃ কনক সাহার। দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উল্লেখযোগ্য অবদানে শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কারের জন্য এবারে বেছে নেওয়া হয়েছে তাঁরই নাম ।
লেখাপড়ায় বরাবরই মেধাবী কনক। স্থানীয় যোগেশচন্দ্র সাহা হাইস্কুলে পড়াশোনা।
সেখানে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর নবম শ্রেণীতে দিনহাটা উচ্চবিদ্যালয়ে। মাধ্যমিক ও পরে বিজ্ঞান বিভাগে দ্বাদশ শ্রেণী পাশ করে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স নিয়ে পাশের পর বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। পরবর্তীতে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে কিছুদিন মহাকাশবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণার পর পরবর্তী গবেষণার জন্য বিদেশে যান। জেনেভা অবজারভেটরি, রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতো পৃথিবীর প্রথম সারির মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রে বিভিন্ন সময়ে ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে পুনের ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে পড়ানোর পাশাপাশি গবেষণাও করছেন। এখানে গবেষণা করতে গিয়ে কনক ও তাঁর টিম ৯৩০ কোটি আলোকবর্ষ দূরের এক গ্যালাক্সির খোঁজ পান। ইসরোর টেলিস্কোপের মাধ্যমে এইউডিএফ এসজিরোওয়ান নামে এই গ্যালাক্সির খোঁজ পেতে বিশ্বজোড়া খ্যাতি পান কনক।