কাকদ্বীপে হঠাৎ টর্নেডো-হানা, ত্রাণশিবিরে ৩৫ হাজার মানুষ

Must read

ব্যুরো রিপোর্ট: অতিভারী ‌বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে বিপর্যস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু ব্লকে প্লাবন পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার বিকেল ৩টে ১৫ নাগাদ কাকদ্বীপের ১১ নং বৈকুণ্ঠপুরে আচমকা টর্নেডো আছড়ে পড়ে। ১০ সেকেন্ডের এই টর্নেডো-হানায় একটি বাড়ির অ্যাসবেস্টসের চাল উড়ে যায়, ফাটল ধরে বেশ কিছু বাড়ির দেওয়ালে, ক্ষতি হয় ধানিজমির। জেলার প্লাবন পরিস্থিতির জন্য ৩৫ হাজারের বেশি দুর্গত মানুষকে সরানো হয়েছে বিভিন্ন ত্রাণশিবির ও স্কুলে।

আরও পড়ুন :সাইবার ক্রাইম, আর্থিক দুর্নীতির দৌড়ে এগিয়ে ডাবল ইঞ্জিনের উত্তরপ্রদেশ-গুজরাত : রিপোর্ট

সুন্দরবনের উপকূলবর্তী সাগর, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, ক্যানিং, গোসাবা, মথুরাপুরের পাশাপাশি শহরতলির ডায়মন্ডহারবার, বারুইপুর, সোনারপুর, আমতলা, মহেতলা, বজবজ জলমগ্ন। মঙ্গলবার রাতে বকখালির অদূরে জম্বুদ্বীপের কাছে ডুবে যায় মাছধরার ভুটভুটি। উপকূলরক্ষী বাহিনী পাঁচ মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে। ঝড়ে ডায়মন্ডহারবার, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘিতে প্রচুর বিদ্যুতের তার ছিঁড়েছে। বিদ্যুৎহীন একাধিক এলাকা। বন্ধ সুন্দরবনের ফেরি সার্ভিস। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ঝড়-‌বৃষ্টির দাপট বাড়তে থাকে।

আরও পড়ুন : বিতর্কে পড়ে মেধাতালিকা প্রত্যাহার বিশ্বভারতীর

ধান, সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা। বুধবার দফায় দফায় বৃষ্টি হয়। প্রচুর কাঁচাবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা মোতায়েন আছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। জেলাশাসক পি উলগানাথন ডায়মন্ডহারবার মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে মেগা কন্ট্রোলরুম ঘুরে বলেন, ‘৩৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। ত্রিপল, শুকনো খাবার, চাল বিতরণ করা হচ্ছে।’

মঙ্গলবার রাত থেকে অঝোর বৃষ্টিতে জলমগ্ন হাওড়ার বাগনান, উলুবেড়িয়া, শ্যামপুর, উদয়নারায়ণপুর, আমতা। বুধবারও সারাদিন বৃষ্টি হওয়ায় এইসব এলাকার মাঠঘাট জলের নীচে। প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে। জলমগ্ন এলাকার মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। বিধায়ক রাজা সেন বলেন, ‘পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। বড় কোনও বিপত্তি ঘটেনি।’

আরও পড়ুন :“আমার লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী প্রকল্পের দৌলতে তা হয়নি।”

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় লাল সর্তকতা জারি হয়। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। তা সত্ত্বেও ইলিশের লোভে মাছ ধরতে যায় কয়েকটি ট্রলার। সমুদ্রবাঁধ পরিদর্শনে এসে মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি সমুদ্রে ট্রলার দেখতে পেয়ে মৎস্য দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন দ্রুত ট্রলারগুলিকে ফিরিয়ে আনতে। রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী শম্পা মহাপাত্রকে সঙ্গে নিয়ে তিনি দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।

Latest article