প্রতিবেদন : বিপর্যয় মোকাবিলার পরিকাঠামো (Disaster response infrastructure) তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের ৬টি দফতরকে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। এবারই প্রথম এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। সেচ, পূর্ত, পঞ্চায়েত, মৎস্য, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতর এবং কলকাতা পুরনিগম এই ৬টি দফতরকে মোট ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। জানা গেছে, বিপর্যয় মোকাবিলার পরিকাঠামো গড়তে সবক’টি দফতরকে এ বছর বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলের ২০ শতাংশ টাকা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরকে এই খাতে ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের গোড়ায় রাজ্যের সমস্ত দফতরকে বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে দফতরগুলি কী কী কাজ করতে চায় এবং তার জন্য কত টাকা প্রয়োজন তা জানতে চেয়ে চিঠি দেয়। এরপরে ওই দফতরগুলিকে তাদের আবেদনের ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতর বিপর্যয় প্রবণ এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মানুষের আশ্রয় নেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য বেশ কিছু হস্টেল মেরামতির জন্য টাকা চেয়ে আবেদন করে। পূর্ত দফতর এসব এলাকায় কিছু নতুন রাস্তা তৈরি করবে বলে জানায়। পঞ্চায়েত দফতর বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ চালাতে অর্থের আবেদন করে। এরকম নানা কাজের জন্য ওই ৬টি দফতরকে মোট ৩৫০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। সম্প্রতি বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান সুন্দরবন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, বিপর্যয়ের সময় সেখানকার স্কুলগুলিতে বিপদাপন্ন মানুষ যাতে আশ্রয় নিতে পারেন, সেরকম পরিকাঠামো তৈরির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন তিনি। এই বিশেষ বরাদ্দের টাকায় সেই কাজ অনায়াসে করা যাবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। নবান্নের এক আধিকারিক জানান, বর্তমানে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে প্রায় ৫৪০ কোটি টাকা রয়েছে। ৬টি দফতরকে অর্থ বরাদ্দ করার পরেও হাতে থাকবে ১৯০ কোটি টাকা। তাই সরকার চাইছে, অন্যান্য দফতরও বিপর্যয় মোকাবিলার পরিকল্পনা করে এই বরাদ্দ পেতে আবেদন করুক।
আরও পড়ুন-জয়েন্টে কোটায় ভর্তি, বসুর দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনলেন মন্ত্রী উদয়ন গুহ