সংবাদদাতা, নন্দীগ্রাম : রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যতই হম্বিতম্বি করুন, শুধু দলেই নয়, নিজের বিধানসভা এলাকাতেও তাঁর নিয়ন্ত্রণ নেই। উল্টে দিন দিন তাঁর কাজেকর্মে চরম ক্ষুব্ধ নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা-কর্মীদের একাংশ। দল ভাঙতে চলেছে আড়াআড়ি। বিরোধী দলনেতা-সহ রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বকে পাশে না পেয়ে, বিরক্ত ৬১ জন বিজেপি নেতা-কর্মী গণইস্তফা দেওয়ার বিষয়ে, সোমবার গোকুলনগরে বিজেপির মণ্ডল কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক করলেন।
আরও পড়ুন-উচ্চমাধ্যমিক যোগ্যতায়
দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতি পদে চাপিয়ে দেওয়া নেতাকে পছন্দ নয় অধিকাংশের। তা নিয়েই নন্দীগ্রামের বিজেপি ভাঙছে। ঘটনার সূত্রপাত ২৫ এপ্রিল। নন্দীগ্রাম বিধানসভায় বিজেপির পাঁচটি মণ্ডল কমিটির মধ্যে নন্দীগ্রাম ১ দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতি পদে জয়দেব মণ্ডলকে সরিয়ে দল শ্যামাপ্রসাদ মাইতির নাম ঘোষণা করে। তারপরেই সোনাচূড়া, গোকুলনগর, কালীচরণপুর এলাকার প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী ও সমর্থক বেজায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এঁদের মধ্যে ‘দাদার অনুগামী’রাও রয়েছেন। বিক্ষুব্ধদের দাবি, জয়দেব দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। দল করতে গিয়ে ওঁকে প্রায় ৪৮টি মামলায় জড়ানো হয়েছে। প্রায় ছয় মাস ঘরছাড়া ছিলেন।
আরও পড়ুন-নিষিদ্ধ বনফায়ার, বনদফতরের একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা
গত বিধানসভা ভোটে নিজের অঞ্চলে বিজেপিকে চার হাজার ভোটের লিড পাইয়ে দিয়েছেন। ওঁর কাছে নতুন সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ দাঁড়াতেই পারেন না। তাই নন্দীগ্রামের ৬১ জন বিজেপি নেতা-কর্মী ১৯ মে চিঠি দেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিক্ষুব্ধদের দাবি, বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতাকেও জানানো হয়। কোনও পক্ষই পাত্তা না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত সোমবার ৬১ জন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মী গণইস্তফা বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বৈঠক করেন।