নয়াদিল্লি : বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তায় কর্ণপাত না করেই দেশজুড়ে ফর্টিফায়েড রাইস সরবরাহ করছে মোদি সরকার। দেশ থেকে অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা দূর করতে এই চাল পরীক্ষার পর চূড়ান্ত রিপোর্ট আসার আগেই পুষ্টিগুণ মিশ্রিত চাল বা ফর্টিফায়েড রাইস সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই চালের যথাযথ পুষ্টিগুণ এবং মানবদেহের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই এই চাল সরবরাহে তাই মারাত্মক ঝুঁকি যাচ্ছে। এবার নীতি আয়োগের বৈঠকেও উঠে এল সেই প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুন-অভিষেককে স্বাগত জানাতে জোর প্রস্তুতি
জানা গিয়েছে, মানব শরীরে ফর্টিফায়েড রাইসের প্রভাব সম্পর্কে পুরোপুরি পরীক্ষা না করেই হঠাৎ করে চালু করার বিরোধিতা করেছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকও। জানা গিয়েছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ এবং নামী স্বাস্থ্য সংস্থাগুলিও এই চালের ব্যবহার নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে। তাদের দাবি, এই চাল ব্যবহারের আগে আরও বিস্তারিত আলোচনা, মানব শরীরে প্রভাব এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন। যদিও সেসব আপত্তি উড়িয়ে দেয় কেন্দ্র। বিশেষত, শিশুদের শরীরে এর কুপ্রভাব নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিশেষজ্ঞ সংস্থাগুলি।
আরও পড়ুন-নতুন উপাচার্য সঞ্চারী
যদিও সেই সতর্কবার্তায় কোনওরকম কর্ণপাত না করেই প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় এই চাল সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩৭.৭৪ লক্ষ টন পুষ্টিগুণ মিশ্রিত চাল বরাদ্দ করেছে মোদি সরকার। পুষ্টিগুণ মিশ্রিত এই চাল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ২০২২-এর মার্চ পর্যন্ত সেই পরীক্ষা চলার কথা ছিল। যদিও চূড়ান্ত ফলের অপেক্ষা না করে আগেই ২০২১ সালে পুরোদমে এই চাল সরবরাহ শুরু করে দেয় মোদি সরকার।