সংবাদদাতা, সুন্দরবন : ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোকা। প্রশাসনিকভাবে প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। ফ্লাড সেন্টার থেকে জেনারেটর সব দিক থেকে প্রস্তুত তারা। পাশাপাশি সুন্দরবনবাসীদের সচেতন করার কাজও চলছে পুরোদস্তুর। মে মাস পড়লেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়তে হয় উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দাদের। আয়লা, আমফান, ইয়স, বুলবুল-সহ একাধিক ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে দেখা গিয়েছে মে মাসেই।
আরও পড়ুন-স্কুলের গ্রুপ ডি চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশ শীর্ষ আদালতের
এবারেও হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসমতো মোখা তার দাপট নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে সুন্দরবন উপকুলে। বসিরহাট জেলার সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাড়োয়া, মিনাখাঁ ব্লকগুলোতে বারবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় আঘাত এনেছে। ২০০৯-এর মে মাসের আয়লা আজও মানুষের স্মৃতিতে অক্ষত। গোটা সুন্দরবন লন্ডভন্ড করে একাধিক মানুষের মৃত্যু হয় সেবার। এরপর একে একে আমফান, ইয়স, বুলবুলের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখেছে গোটা বাংলা। এবার ধেয়ে আসছে মোখা। ফলে আবারও সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকার মানুষ। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, আমফানের থেকেও ভয়ঙ্কর বিপর্যয় আছড়ে পড়তে চলেছে সুন্দরবনের উপর।
আরও পড়ুন-বড় ভরসা শস্যবিমা, পূর্ব বর্ধমানে ফসলের ক্ষতি
বছর ঘুরতে না ঘুরতে আবার দুর্যোগের সামনে পড়তে চলেছেন সুন্দরবনের মানুষজন। হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল বলেন, ‘আবার দুর্যোগের সতর্কবার্তা এসেছে। আমরা ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে আশ্রয়কেন্দ্র, ত্রাণশিবির, স্কুল বাড়িগুলোকে সচল রাখার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণের ব্যবস্থা করছি। আইসিডিএস সেন্টারগুলোতে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী রাখার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সেচ দফতর, ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের তরফে নদীবাঁধগুলোর উপর দিবারাত্রি নজরদারি চালানো হচ্ছে। প্রতি বছর মে মাসের দুর্যোগ আমাদের কাছে বিভীষিকার বাতাবরণ তৈরি হয়। তবে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।’