পর্যটকদের সুবিধার্থে আকর্ষণীয় ট্যুর প্যাকেজ নিয়ে আসতে চলেছে রাজ্যের পর্যটন দফতর। এর মধ্যে অন্যতম জেলাভিত্তিক ট্যুর প্যাকেজ। প্রতিটি জেলার পর্যটন দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কী থাকবে তাতে? থাকবে জেলার দ্রষ্টব্য স্থান, কীভাবে যাতায়াত করা যায়, থাকার ব্যবস্থা, পর্যটন স্থানগুলোর সংযোগকারী রুটম্যাপ ইত্যাদি।
আরও পড়ুন-কেন বুধেই নামল বিক্রম? চাঁদের প্রকৃতি বুঝেই অঙ্ক ইসরোর
প্রতিটি জেলা অন্তত পাঁচটি করে এইরকম সম্ভাব্য ট্যুর প্যাকেজ তৈরি করবে। বিশেষত, দুই রাত তিনদিনের। এক রাত দুদিনের ছোট ছোট ট্যুর প্যাকেজের উপরও বিশেষ জোর দিতে বলা হয়েছে। এই প্যাকেজ হবে পর্যটক স্থানের বিশেষত্বের উপর নির্ভর করে।
জেলায় ধর্মীয়, শিক্ষামূলক, সাংস্কৃতিক, প্রাকৃতিক ইত্যাদি কী কী আকর্ষণ রয়েছে সেগুলোর উল্লেখ থাকবে প্যাকেজে। পাশাপাশি জঙ্গল সাফারি, ট্রেকিং, নৌকা ভ্রমণ ইত্যাদির সুযোগ সুবিধা থাকলে তার উল্লেখ রাখার কথা বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে জেলার মধ্যে আন্তঃসংযোগকারী সমস্ত পর্যটন স্থানের বিস্তারিত রুট ম্যাপ সংযুক্ত করা হবে। এর সঙ্গে থাকবে সংশ্লিষ্ট পর্যটন স্থানের আকর্ষণীয় ছবি এবং ভিডিয়ো। পর্যটন ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া এবং পর্যটন মেলায় এই সমস্ত প্যাকেজের জোরদার প্রচার করা হবে।
আরও পড়ুন-ভারসাম্যের নীতিতে সামাজিক উন্নয়নেই জোর দিচ্ছে বাংলা
রাজ্যে পর্যটন বিকাশে এর আগে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকারের পর্যটন বিভাগ। কয়েক মাস আগেই থিম পর্যটনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। হেরিটেজ ও সাংস্কৃতিক, অ্যাডভেঞ্চার, ইকো, বিচ, রুরাল, ওয়েলনেস এবং মিটিং ইনসেনটিভ কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সজিবিশন ট্যুরিজম— এরকম সাতটি থিম বেছে নেওয়া হয়েছিল। থিম পর্যটন গড়ে তোলার কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থান এবং অফবিট ডেস্টিনেশনের সংখ্যা বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন-মিশ্রকে ক্ষমতায় রাখতে মরিয়া মোদি সরকার, ঘুরপথে নয়া ছক
এবার বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে প্যাকেজ তৈরির উপর। অনেক ক্ষেত্রেই পর্যটকরা কী ভাবে ঘুরবেন, কোথায় কোথায় থাকবেন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। বিভিন্ন বেসরকারি পর্যটন সংস্থার উপর নির্ভর করতে হয়। সেক্ষেত্রে সেই সংস্থার সুবিধা-অসুবিধা, মুনাফার বিষয় যুক্ত থাকে। পর্যটকরা কখনও কখনও নানারকম সমস্যায় পড়েন। তাঁদের যাতে সঠিক দিশা দেখানো যায় তাই সরকারি উদ্যোগে প্রথমবার এই ধরনের জেলাভিত্তিক ট্যুর প্যাকেজের পরিকল্পনা নেওয়া হল। মনে করা হচ্ছে এই কর্মসূচি জেলার পর্যটন ব্যবস্থার প্রসার ঘটাবে এবং পর্যটকদের কাছে দারুণভাবে গ্রহণযোগ্য হবে।