প্রতিবেদন : চারতলা থেকে মরণঝাঁপ যুবকের। রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ সল্টলেকের একটি বহুতলের চারতলা থেকে ঝাঁপ দেন চন্দন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। আশপাশের লোকজন তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ঝাঁপ দেওয়ার আগে ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে একটি মেসেজ পাঠান। তাতে তিনি স্ত্রী ও সন্তানের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে লেখেন, তিনি আর পরিবারের দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। এরপরেই চারতলা থেকে ঝাঁপ দেন চন্দন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন মৃতের স্ত্রী ও মা। স্ত্রীর দাবি, কিছুদিন ধরে কাজ নিয়ে প্রচণ্ড মানসিক চাপে ভুগছিলেন পেশায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী চন্দন। তাই এই চরম সিদ্ধান্ত। বিধাননগর উত্তর থানা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন-তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে মেরে বাইক জ্বালাল বিজেপি
প্রাথমিক তদন্তে মানসিক চাপের কথাই উঠে এসেছে। তবে তিনি নিজে পড়ে গিয়েছেন নাকি কেউ ধাক্কা মেরেছে সেই নিয়ে রয়েছে ধন্দ। মৃত্যুর আগে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর মেসেজ ও ফোনের কথাতেও মানসিক চাপের কথা স্পষ্ট। চন্দনের মৃত্যুতে উঠে আসছে মানসিক চাপের প্রসঙ্গ। স্বামীর মৃত্যুতে দৃশ্যতই ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস মণ্ডল। তিনি চন্দন মণ্ডলের সংস্থার কর্ণধারের দিকে আঙুল তুলেছেন। মাস দুয়েক আগেই ভাল অফার পেয়ে নতুন সংস্থায় যোগ দিয়েছিলেন চন্দন। প্রিয়াঙ্কা জানান, যোগদানের পর সব ঠিকই ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সাংঘাতিক চাপে ছিলেন চন্দন।
আরও পড়ুন-ক্যান্ডিতে আজ নেপাল-ম্যাচে বুমরা নেই
স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, পুরনো অফিসের বস তাঁর নামে কিছু বলায় নতুন সংস্থা তাঁকে চাকরিতে রাখতে চাইছে না। তাঁকে সেরকম কাজ দিচ্ছে না। ঘুরিয়ে তাঁর উপর নানা মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে। চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। রবিবার সকালে ফোনেও চন্দন চাকরি ছেড়ে দেওয়ার চাপের কথা স্ত্রীকে বলেছিলেন। স্ত্রী সাহস জোগালেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন চন্দন। স্ত্রী ও ১০ বছরের মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন। আর পরিণতিতেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন চন্দন। মৃতের মায়ের দাবি, কিছুতেই আত্মহত্যা করতে পারেন না চন্দন। তাঁর কথায়, চন্দন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকলেও মেয়ে ও স্ত্রীকে খুবই ভালবাসতেন।