প্রতিবেদন : রাজ্য সরকার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন। তার পরেও কাজে যোগ না দিলে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে আইনমাফিক পদক্ষেপ করতে পারবে প্রশাসন। জুনিয়র ডাক্তারদের পুরনো সেই অর্ডার স্মরণ করিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল সুপ্রিম কোর্ট৷ মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) আরজি কর মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে সওয়াল করতে গিয়ে বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল জানান, সোমবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আন্দোলনকারী কলকাতার পুলিশ কমিশনার, ডিসি নর্থ, ডিএমই, ডিএইএসকে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্মরত ডাক্তারদের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়েও সুনিশ্চিত আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এর পরেও জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরছেন না৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার কী করতে পারে? প্রশ্ন তোলেন কপিল সিবাল৷ এই সময়েই জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিং জানান, জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের জেনারেল বডি মিটিংয়ে আলোচনা করে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। কবে হবে সেই মিটিং, তা বলতে পারেননি ইন্দিরা জয় সিং৷ এর পরেই প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ধর্মঘটি চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করছে সরকার৷ বেশ কিছু পদক্ষেপও করা হয়েছে ইতিমধ্যেই৷ বাকি কাজও করা হবে ১৪ দিনের মধ্যেই৷ তারপরেও যদি ডাক্তাররা কাজে না ফেরেন, তাহলে শীর্ষ আদালতের আগের অবস্থানই বহাল থাকছে৷ আগের অর্ডারে সাফ জানানো হয়েছিল, দ্রুত কাজে যোগ না দিলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনমাফিক পদক্ষেপ করতে পারবে রাজ্য সরকার। চিকিৎসা এবং বিচারব্যবস্থায় কোনও ধর্মঘট করা যায় না, আগেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)৷
আরও পড়ুন- কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী, রদবদল হল একাধিক পুলিশ-স্বাস্থ্যকর্তাদের
মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ না দেওয়ার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল৷ তাঁর সওয়াল, ৩০০০ সিনিয়র ডাক্তার, ১০,০০০ জুনিয়র ডাক্তারদের নিরাপত্তার জন্য ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার, তা ডাক্তারদের জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁদের দ্রুত কাজে যোগদান করার জন্য অনুরোধও করেন। কপিল সিবালের এই ব্যাখ্যা শুনে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানতে চান, আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের জন্য কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার? উত্তরে সিবাল জানান, আরজি করে জয়েন্ট ইনস্পেকশন হয়েছে সিআইএসএফ, পিডব্লুডিকে সঙ্গে নিয়ে৷ ৩৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে আরজি করে। আরও বসানো হচ্ছে। অ্যাডিশনাল ডিউটি রুম তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৪ দিনের মধ্যে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে। অতিরিক্ত শৌচাগার তৈরির কাজও চলছে জোরকদমে। সমানতালে চলছে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ। তিন দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে আরজি করের সব কাজ, জানান প্রধান বিচারপতি।