প্রতিবেদন : গরাদের অন্ধকার মানেই জীবন শেষ নয়। সংশোধনাগারের আবাসিকদের মূলস্রোতে ফেরার হদিশ দেন তিনি। সংশোধনাগারের সেই অভিভাবক অর্থাৎ পুলিশ সুপারের তৈরি তথ্যচিত্রই এবার স্থান পাচ্ছে পর্তুগাল চলচ্চিত্র উৎসবে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (হেড কোয়ার্টার) পদে ছিলেন দ্যুতিমান ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন-এবার মাইক্রোসফটে যোগ দিচ্ছেন অল্টম্যান? সত্য নাদেলার ঘোষণায় চমক
তাঁর তৈরি ‘লেট দেয়ার বি ডার্কনেস’ নামের তথ্যচিত্রটি এবার পারি দিচ্ছে পর্তুগালে। আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে পুলিশ আধিকারিকের তৈরি করা এই তথ্যচিত্র। চলতি বছরের মার্চে তথ্যচিত্রটি নির্মাণ সম্পন্ন হয়। প্রায় ছয় মাস লেগেছিল সেটি তৈরি করতে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, বায়ু দূষণ, জল দূষণ, গাছ কাটার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে বহু চর্চা হতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন-৩ বছর ধরে কী করছিলেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল? তিরস্কার করল সুপ্রিম কোর্ট
এমন একটি তথ্যচিত্রের ভাবনা কীভাবে এল? ক্যামেরায় চোখ রেখে পুলিশ সুপার বলেন, প্রকৃতির দেওয়া অন্ধকার কাটিয়ে নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে যেভাবে আলো দূষণ ঘটানো হচ্ছে তাতে একের পর এক বিপন্ন হচ্ছে পাখি, পোকামাকড়। একসময় প্রচুর শ্যামাপোকা বা জোনাকি দেখা গেলেও এখন সেভাবে নজরে পড়ে না। চড়া আলোর প্রভাবে শহরাঞ্চল থেকে আকাশের দিকে তাকিয়ে আগের মতো তারা বা উল্কাও দেখা যায় না। এইভাবনা থেকেই তথ্যচিত্রের সৃষ্টি।