স্কুলছুট বন্ধ করতে কী পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র? জানতে চাইলেন অভিষেক

Must read

ফের সংসদে সরব তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা অতিমারির বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পড়াশোনা চলছে অনলাইনে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অংশের ছাত্রছাত্রীরা। অনেকেই মাঝপথে পড়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গোটা দেশে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের ড্রপ-আউট বা স্কুলছুট নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদ কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, ২০২০-২১ সালে কত জন ছাত্র এবং কতজন ছাত্রী স্কুলছুট হয়েছে? এই ড্রপ আউট বন্ধের জন্য কেন্দ্র কি ব্যবস্থা নিয়েছে? তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ আরও জানতে চান শিক্ষার অধিকার আইনের আওতায় কি শুধু ৬ থেকে ১৪ বছরের ছাত্রছাত্রীরাই পড়ে? যে কারণে ১৫ বা তার বেশি বয়সি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ড্রপ আউটের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি?১৫-র ঊর্ধ্বে ছাত্র-ছাত্রীদের ড্রপ-আউট সমস্যা বন্ধ করতে সরকার কি পরিকল্পনা নিয়েছে?

আরও পড়ুন-মমতার দেখানো পথে কংগ্রেস, রাহুলের ডাকা প্রাতঃরাশ বৈঠকে ঘুঁটি সাজাতে তৃণমূল-সহ অবিজেপিরা

অভিষেকের এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান স্বীকার করেন, ২০১৯-২০ সালে প্রাইমারি ক্ষেত্রে ১.৭ ছাত্র এবং ১.২ শতাংশ ছাত্রী স্কুলছুট হয়েছে। আপার প্রাইমারিতে ছাত্র-ছাত্রীদের ড্রপ আউটের হার যথাক্রমে ২.২ এবং ৩ শতাংশ। সেকেন্ডারি এডুকেশনের ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের ড্রপ আউটের হার যথাক্রমে ১৭ ও ১৫.১ শতাংশ। মন্ত্রী আরও বলেন, সেকেন্ডারি এডুকেশনের ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলছুট আটকাতে প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে আর্থিক সাহায্য করা হয়ে থাকে। রাজ্যগুলিকে নতুন স্কুল এবং হোস্টেল চালু করা, ক্লাসরুমের সংখ্যা বাড়ানো-সহ সব ধরনের সাহায্য করে কেন্দ্র। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সমগ্র শিক্ষা অভিযানে ১৬ থেকে ১৯ বছর বয়সি ছাত্র-ছাত্রীদের বছরে ২ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। এই অর্থসাহায্য এবারই প্রথম করা হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরা যাতে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে সে কারণেই এই অর্থ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও যেসমস্ত ছাত্রছাত্রী বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পড়াশোনা করছে তাদেরও বিভিন্ন ধরনের সাহায্য করা হচ্ছে। এছাড়াও মেধার ভিত্তিতে স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে। সমাজের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের ড্রপ-আউট আটকানোর জন্যই এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা এই স্কলারশিপ পেয়ে থাকে। দেশে ছাত্র-ছাত্রীদের ড্রপ-আউট আরও কমিয়ে আনতে সরকার চিন্তাভাবনা করছে বলেও মন্ত্রী জানান।

আরও পড়ুন-ডবল ইঞ্জিন সরকারের নমুনা! বেকারত্ব তালিকায় প্রথম ৫ রাজ্যই বিজেপির

Latest article