বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার : সূর্য ডুবেছে। নেমে এসেছে অন্ধকার। দু-একটা ট্রেন গিয়েছে রেললাইন ধরে। চারিদিকে থমথমে। হাঁটার সময় পায়ের আওয়াজও কানে আসে। দুর্ঘটনার পর দোমোহানি (Alipurdwar Domahani) স্টেশনের চিত্রটা এমনই। কিন্তু দিনকয়েক হল সন্ধে হতেই ‘বাঁচাও বাঁচাও’ আর্তনাদ শুনতে পান চারপাশের বাসিন্দারা। ওই রেললাইনের ধার বেয়ে ভেসে আসে বুকফাটা কান্নার আওয়াজ। ফিস ফিস করে কে যেন বলে, যায় না বলা অনেক কথা। কে, কারা? নাকি মনের ভুল? দুর্ঘটনার ঘোর? উত্তর পাননি বাসিন্দারা। শুধু তাঁদের চোখে-মুখে ভয়ের ছাপ। আতঙ্ক। নিজেদের মনকে শান্ত করতে তাই হরিনাম সংকীর্তনের রাস্তা বেছে নিয়েছেন তাঁরা। স্থানীদের দাবি, সন্ধে হলেই ওই দুর্ঘটনাস্থল থেকে শুনতে পাওয়া যাচ্ছে আর্তনাদ, কান্নার আওয়াজ, বাঁচানোর আকুল আর্তনাদ। অবস্থা এমনি দাঁড়িয়েছে যে সন্ধে নামলে ওই রাস্তায় আর কেউ যাচ্ছেন না। গ্রামের (Alipurdwar Domahani) সকলে মিলে ঠিক করেন অপঘাতে মৃতদের শান্তিকামনায় পুজোর ব্যবস্থা করবেন। সেইমতো শুরু হয়েছে এবং হরিনাম সংকীর্তন।