একদিকে গণনা চলছে অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের (Election commission) সবরকম নির্দেশকে ডোন্ট কেয়ার করে নেতা নেত্রীরা সঙ্গে রাখল নেশার দ্রব্য। রাজনৈতিক নেতা–নেত্রীদের পরীক্ষা করতেই বেরিয়ে এল গুটখা, পান, বিড়ি, সিগারেট ও চুলকানির মলম। শুধু পকেটেই নয়, চুলের মধ্য়ে, তোয়ালে জড়িয়ে নেশার দ্রব্য আনা হয়েছে। দেহ পরীক্ষা করতেই ধরা পড়ে গিয়েছেন সকলে। মধ্যপ্রদেশের অশোকনগর জেলার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র চান্দেরি, অশোকনগর এবং মুঙ্গওয়ালিতে ভোট গণনা চলাকালীন নেতা–কর্মীদের পকেট ও শরীর পরীক্ষা করতেই সিগারেট এবং অন্যান্য নেশার দ্রব্য বেরিয়ে আসে।
আরও পড়ুন-মুখোমুখি মারুতি ভ্যান ও ইট বোঝাই ট্রাক্টর, নিজের গাড়িতে হাসপাতালে পাঠালেন মন্ত্রী
গণনার দিন জনপ্রতিনিধিরাই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে অমান্য করলেন! স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল। আজ, রবিবার চার রাজ্যের ভোট গণনা হয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তায় ছিল প্রচণ্ড কড়াকড়ি ছিল। গণনাকেন্দ্রে ঢোকার আগে নেতা–নেত্রীদেরও দেহ পরীক্ষা করা হয়। ঠিক এই অবস্থায় মধ্যপ্রদেশের এক গণনাকেন্দ্রে দেখা যায়, একাধিক নেতা–নেত্রী, কর্মীদের পকেট থেকে বেরোচ্ছে পান, গুটখা, সিগারেট–সহ নানা নেশার দ্রব্য। যেকোন রকম নেশার দ্রব্য নিয়ে গণনাকেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেটাই মানা হল না।
আরও পড়ুন-লাদাখে যাত্রীবাহী বাসে জঙ্গি হামলা, মৃত ৯
নির্বাচন কমিশনের তরফে এই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়, গণনাকেন্দ্রে কোনও প্রার্থী বা নেতা–নেত্রী বা কর্মী গেলে সেখানে নেশার দ্রব্য রাখা যাবে না। ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহন নিষিদ্ধ। কিন্তু দেখা গেল, মধ্যপ্রদেশে একাধিক প্রার্থী থেকে কর্মীদের শরীর পরীক্ষা করে বিপুল পরিমাণ নেশার দ্রব্য় বের করা হয়। কেউ আবার জুতোর মধ্য়ে, অন্তর্বাসে লুকিয়ে নেশার দ্রব্য এনেছিলেন। সবাই ধরা পড়েছেন।