প্যারিস, ৮ মে : পিএসজিকে ইউরোপ সেরা করার স্বপ্নটা অধরাই রইল কিলিয়ান এমবাপের। ফিরতি সেমিফাইনালেও পিএসজিকে ১-০ গোলে (দুই পর্ব মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানে) হারিয়ে ১১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (Champions League) ফাইনালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।
গত ১ মে জার্মানিতে আয়োজিত প্রথম পর্বের ম্যাচটা ০-১ গোলে হেরেছিল পিএসজি। ফাইনালে ওঠার জন্য ঘরের মাঠে আয়োজিত ফিরতি লেগের ম্যাচটা দু’গোলের ব্যবধানে জিততেই হত এমবাপেদের। কিন্তু ৫০ মিনিটে গোল করে পিএসজির যাবতীয় স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেন ডর্টমুন্ডের ম্যাটস হুমেলস। এরপর অনেক চেষ্টা করেও গোল শোধ করতে পারেনি পিএসজি। অথচ গোটা ম্যাটে দাপট দেখিয়েছেন এমবাপেরাই। দুই অর্ধ মিলিয়ে পিএসজির মোট চারটি শট পোস্ট ও ক্রসপিসে লেগে প্রতিহত হয়। ৮১ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপে। ৮৭ মিনিটে ফের তাঁর শট ক্রসপিসে লেগে প্রতিহত হয়।
আরও পড়ুন- ভাসছে ব্রাজিল, সাহায্যের হাত বাড়ালেন নেইমার
মরশুম শেষ হলেই ক্লাব ছাড়ছেন এমবাপে। পিএসজির জার্সিতে ইউরোপীয় টুর্নামেন্টে এটিই ছিল কার্যত তাঁর শেষ ম্যাচ। ম্যাচের পর বিধ্বস্ত এমবাপে বলেন, ‘‘নিজের সেরাটা দিতে দলকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। আমি স্ট্রাইকার। গোল করাই আমার কাজ। নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছি। তাই এই হারের দায় আমার। যখন দল জেতে, তখন প্রচারের আলো আমার উপরেই বেশি থাকে। তাই ব্যর্থতার দায়ও আমাকেই নিতে হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই ম্যাচে আমার অন্তত দুটো গোল করা উচিত ছিল। তবে এটাই ফুটবল। কখনও আপনি সফল হবেন, আবার কখনও ব্যর্থ।’’
এদিকে, ডর্টমুন্ড শিবিরে আবার উৎসবের পরিবেশ। ২০১২-১৩ মরশুমে শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (Champions League) ফাইনালে উঠেছিল ডর্টমুন্ড। সেবার ফাইনালে আরেক জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-২ গোলে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল ডর্টমুন্ডকে। এবারও সম্ভাবনা রয়েছে ফাইনালে দুই জার্মান ক্লাবের পরস্পরের মুখোমুখি হওয়ার। কারণ বুধবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে নামছে বায়ার্ন।