ডবল ইঞ্জিন মানে সিবিআই-ইডি, কেন্দ্রে চুরি, বাদ যায় না রাজ্যও

ত্রিপুরায় তৃণমূলই একমাত্র বিকল্প। ডবল ইঞ্জিন সরকারের অপশাসন থেকে মুক্তি পেতে ও ত্রিপুরাবাসীর সার্বিক উন্নয়নের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকেই দরকার

Must read

সোমনাথ বিশ্বাস, আগরতলা: ত্রিপুরায় তৃণমূলই একমাত্র বিকল্প। ডবল ইঞ্জিন সরকারের অপশাসন থেকে মুক্তি পেতে ও ত্রিপুরাবাসীর সার্বিক উন্নয়নের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকেই দরকার। বক্তা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার আগরতলায় পাঁচ কিলোমিটার পদযাত্রা শেষে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে বিশাল জনসভায় অভিষেক বিজেপিকে তুলোধোনা করে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস যা বলে তাই করে। কিন্তু বিজেপির পুরোটাই ভাঁওতা। এখানে ডবল ইঞ্জিন সরকার। ডবল ইঞ্জিন মানে হল সিবিআই আর ইডি। এরা কেন্দ্রেও চুরি করে, রাজ্যেও চুরি করে।

আরও পড়ুন-আদানি বাঁচাও অভিযান শুরু আরএসএস-এর

তাঁর সংযোজন, এর আগে আমরা পুরভোটে লড়াই করেছি। বিজেপি সীমাহীন সন্ত্রাস চালিয়েছে। আমাদের প্রার্থীদের ওপর আক্রমণ করেছে। বাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমাদের সাংসদের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমার গাড়ি ভাঙা হয়েছে। আমাদের কর্মীরা রোজ আক্রান্ত হয়েছেন। মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তবুও আমাদের কর্মীরা বুক চিতিয়ে লড়াই করেছে। ময়দান ছেড়ে পালায়নি। এটাই তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ বিজেপির বিরুদ্ধে আমরাই একমাত্র লড়ছি। তিনি বলেন, যত মানুষ আজ পদযাত্রায় পা মিলিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূলকে ভোট দিলেই বিজেপি ভোকাট্টা হয়ে যাবে। এবার ত্রিপুরায় দুয়ারে গুন্ডা নয়, দুয়ারে সরকার হবে। প্রত্যয়ী ঘোষণা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। এদিন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে নিশানা করে অভিষেক তীব্র কটাক্ষে বলেন, ২০২১-এ ত্রিপুয়া গিয়ে তিনি বলেছিলেন, বিপ্লব দেব হলেন বিগ ফ্লপ দেব। তার তিন মাসের মধ্যে চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি।

আরও পড়ুন-এলআইসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ, আদানি ইস্যুতে প্রতিবাদ তৃণমূল কংগ্রেসের

অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকে জোড়াফুলে ভোট দেওয়া মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়া। ত্রিপুরায় পরিবর্তন হবেই। আত্মবিশ্বাসী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Latest article