প্রতিবেদন : ১১ কোটি টাকা খরচে নবান্ন অভিযানের আসল পরিণতি কি অশ্বডিম্ব প্রসব? বিজেপির অন্দরেই এখন এই আশঙ্কার কথা নেতা-কর্মীদের মুখে-মুখে। প্রশ্ন একটাই, মঙ্গলবার শেষপর্যন্ত মুখ পুড়বে না তো? লোকজন আসবে তো? নবান্ন অভিযানের মুখে দলীয় নেতৃত্বের সবচেয়ে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গোষ্ঠীকোন্দল। একেই নড়বড়ে সংগঠন, তার উপরে দলের বিশ্বাসযোগ্যতা কার্যত শূন্য।
আরও পড়ুন-মধ্যপ্রদেশে সরে যাচ্ছে নিম্নচাপ বুধবার পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি
স্বাভাবিকভাবেই কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তেমন একটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। এদিকে নবান্ন অভিযানে অনুমতি দিল না হাওড়া পুলিশ। বিজেপি নেতৃত্বকে তা লিখিতভাবে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। কলকাতা-হাওড়া— সব জায়গাতেই একইরকম অনীহার ছবি। যদিও স্পেশ্যাল ট্রেনে দূরের জেলা থেকে লোক নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার, তুফানগঞ্জ, কামাখ্যাগুড়িতে বিজেপি সমর্থকরা গণ্ডগোল পাকাতে শুরু করেছেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন বিভিন্ন স্টেশনে। এদিকে বিজেপির অভিযানকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না ঘটে, জনজীবন যাতে ব্যাহত না হয়, তা নিয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-ডেঙ্গু চিহ্নিত করতে বালিতে নামানো হল ড্রোন
হাওড়া পুলিশের পক্ষ থেকে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নবান্ন এলাকা, হাওড়া ময়দান এবং সাঁতরাগাছিতে কোনওভাবেই জমায়েত করা চলবে না। করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনওরকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। কারণ, নবান্ন হাই সিকিউরিটি জোন। এখানে সাধারণভাবেই ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। হাওড়া ময়দান এলাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র। জেলা প্রশাসনের এবং পুলিশের সদর দফতর, হাওড়া কোর্ট, পুরসভা, স্কুল-কলেজ, মঙ্গলাহাট— সবই এখানে। এর আগে এখানে একবার ব্যাপক গোলমাল পাকিয়েছিল বিজেপি। সাঁতরাগাছি-কোনা এক্সপ্রেসওয়েও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট শহরের। এই পয়েন্টগুলোতে বিশেষ ব্যারিকেড করে মোতায়েন করা হচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তৈরি থাকছে জলকামানও। বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে কলেজ স্ট্রিট, হেস্টিংস এবং বিদ্যাসাগর সেতুতেও।